রাশিয়া সেই ১৯৪৫ সালের পর থেকেই ইউরোপে বড় ধরনের যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে সাংবাদিক সোফি রথকে তিনি বলেন, সব তথ্য প্রমাণ এটাই প্রমাণ করছে যে, রাশিয়া ১৯৪৫ সালের পর থেকে ইউরোপে যুদ্ধের পরিকল্পনা করছে। ইতিমধ্যে তার কিছু লক্ষণ প্রকাশিত হতে শুরু করেছে।
গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে জনসন বলেন, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভকে ঘিরে ফেলার মাধ্যমে রাশিয়া একটি আগ্রাসন শুরু করতে চায়। এতে মানুষের জীবন যে অযথাই খরচ হয়ে যেতে পারে, তা মানুষকে বুঝতে হবে।
বিশ্বনেতাদের একটি বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে জার্মানির মিউনিখে গেছেন বরিস জনসন। সেখান থেকেই শনিবার বিবিসিকে সাক্ষাৎকার দেন তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা আসন্ন কি না- এমন প্রশ্ন করা হলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, গোয়েন্দাদের তথ্য প্রমাণ দেখে আমি আসলে ভয় পাচ্ছি। সব তথ্য প্রমাণ এটাই ইঙ্গিত করছে যে, হামলা আসন্ন। এটা লুকানোর কিছু নেই। রাশিয়ার পরিকল্পনার লক্ষণ ইতিমধ্যে প্রকাশিত হতে শুরু করেছে।
বরিস জনসন আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রুশ বাহিনী শুধু পূর্ব দিক থেকে ডনবাস হয়ে ইউক্রেনে প্রবেশেরই পরিকল্পনা করছে না, বরং বেলারুশ ও কিয়েভের আশপাশের এলাকা থেকেও প্রবেশ করছে।
সম্পূর্ণ সাক্ষাৎকারটি রোববার (২০ ফেব্রুয়ারী) বিবিসি ওয়ানের সানডে মর্নিং প্রোগ্রামে প্রচারিত হয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, অন্তত ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার রুশ সৈন্য রাশিয়া ও প্রতিবেশী বেলারুশসহ ইউক্রেনের সীমান্তে অবস্থান করছে। যেকোনো সময় রুশ সেনারা ইউক্রেন হামলা চালাতে পারে। গতকাল শনিবার সকালে দেশটির রাশিয়া সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলের দনেৎস্ক ও লুহানস্কের বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ওই দুই সেনার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।