রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা স্থিতিশীলতা আনতে ও যুদ্ধ থামানোর উদ্দেশে বেলারুশ সীমান্তে যে বৈঠকে বসেছিলেন সেটি শেষ হয়েছে। খবর বিবিসির।
বেলারুশের গণমাধ্যম বেল্টা নিউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, দ্বিতীয়বার আলোচনায় বসার জন্য দুই পক্ষই এখন পরামর্শ করতে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাবে। কয়েক দিনের মধ্যেই দুই পক্ষ ফের আলোচনায় বসতে পারে।
এ বৈঠকের আগে শান্তি আলোচনা নিয়ে কেউই খুব বেশি আশাবাদী ছিলেন না। তবে এখন পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে অথবা রাশিয়া তাদের আক্রমণ বাড়িয়ে দিতে পারে। এর আগে গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, দুটি প্রধান দাবি নিয়ে রাশিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে গেছেন ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা।
সেই দাবিগুলোর প্রথমটি হলো অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করা। দ্বিতীয়টি হলো ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সব সৈন্যকে প্রত্যাহার করে নেওয়া। তবে ইউক্রেনের এ দাবিগুলোর বিষয়ে রাশিয়া কি জানিয়েছে সে বিষয়ে এখনো কোনো কিছু জানা যায়নি।
ইউক্রেন বলছে, তারা যুদ্ধবিরতি চায় এবং রাশিয়ান সৈন্যদের প্রত্যাহার চায়। অন্যদিকে ক্রেমলিন বলছে, মস্কো তাদের অবস্থান সম্পর্কে কোনো ঘোষণা দেবে না। রাশিয়ার সন্ধিকারীরা এমন একটি চুক্তির কথা বলছে, যাতে দুপক্ষের কারো আপত্তি থাকে না।
রোববার এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, তিনি এ আলোচনা থেকে তেমন কোনো অগ্রগতি আশা করেন না। তবে তিনি বলেন, ছোট হলেও এ সুযোগ তাদের ব্যবহার করা উচিত, যাতে কেউ ইউক্রেনকে যুদ্ধ থামানোর চেষ্টা না করার জন্য দোষারোপ করতে না পারে।
এদিকে এ বৈঠক চলার সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সঙ্গে কথা বলেন রাশিয়ার পুতিন। ফ্রান্সের এলিসি প্রাসাদ সূত্র জানিয়েছে, পুতিনকে এখনই যুদ্ধ থামানোর ব্যাপার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন ম্যাঁক্রো।
এলিসি প্রাসাদ সূত্র আরও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো পুতিনকে তিনটি অনুরোধ করেছেন। সেগুলো হলো- বেসামরিক লোকদের উপর হামলা না করা, বেসামরিক স্থাপনা সংরক্ষণ করা ও সেগুলোর উপর কোনো হামলা না করা এবং ইউক্রেনের প্রধান সড়কগুলো বিশেষ করে রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণের রাস্তাগুলো নিরাপদভাবে চলাচল করতে কোনো বাধা সৃষ্টি না করা।
আর প্রেসিডেন্ট পুতিন এ তিনটি অনুরোধ রাখার ব্যাপারে ম্যাঁকের কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এবং ম্যাঁক্রোর সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখার ব্যাপারেও কথা দিয়েছেন।