স্টাফ রিপোর্ট:: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মতে আসন্ন রমজান মাসকে সামনে রেখে ফ্যামিলি কার্ডের সাশ্রয়ী মূল্যে সিলেটে নগরীতে শুরু হয়েছে ট্রেডিং করপোরশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। রোববার (২০ মার্চ) থেকে সিলেট জেলার ১৩টি উপজেলার ৪৪টি স্থানে ও সিটি করপোরেশনের ১৮টি ওয়ার্ডে এসব পণ্য বিক্রি শুরু করে (টিসিবি)।
জানা যায়, আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে এসকল স্থানে একযোগে পণ্য বিক্রি করবে টিসিবি। সঠিকভাবে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আলাদা মনিটরিং টিমও গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। যারা সর্বক্ষণ টিসিবির পণ্য বিক্রির তদারকি করবে।
টিসিবি’র পণ্য বিক্রি উপলক্ষে আজ রোববার সকাল থেকেই নির্দিষ্ট স্থানগুলোতে কার্ডধারী মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। সকাল ১০টা থেকে বিক্রি শুরু হলেও অনেকে ৯টা থেকেই বিক্রির স্থানে এসে জড়ো হন। বাজারের তুলনায় সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য ক্রয় করে খুশি সুবিধাভোগী সাধারণ ও নিম্নআয়ের মানুষেরা।
প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, মানুষের কাছে পণ্য বিক্রি করতে ও কার্যক্রম তত্বাবধানে অনেকগুলো মনিটরিং টিম কাজ করছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাছুদিঘীরপাড়ে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিলেট বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন ও জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।
জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ১৪টি ওয়ার্ডে (১ থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ড) টিসিবি’র পণ্য পাওয়া যাবে। পরবর্তীতে অন্যান্য ওয়ার্ডেও পাওয়া যাবে এসব পণ্য। টিসিবির ট্রাক থেকে প্রতিজন ১১০ টাকা প্রতি লিটার দামে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ৫৫ টাকা প্রতি কেজি দামে ২ কেজি চিনি ও ৬৫ টাকা প্রতি কেজি দামে ২ কেজি মসুরের ডাল কিনতে পারবেন। সুবিধাভোগীরা ‘ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে মাসে দুইবার এই সুবিধা পাবেন।
এই কার্যক্রমে কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানান তারা। তবে, চাহিদার সমান্তরালে ফ্যামিলি কার্ডের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছেন অনেকেই।
‘ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সিলেট বিভাগের ৪ লাখ ৬১ হাজার ৫২১টি পরিবার টিসিবি’র পণ্য কিনতে পারবে। টিসিবি’র পণ্য বিক্রি উপলক্ষে গতকাল শনিবার (১৯ মার্চ) বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা প্রশাসক বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার মোট ৪৫ হাজার পরিবার টিসিবি’র পণ্য পাবেন। তাদের জন্য বরাদ্দ থাকবে মোট ৯০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল ৯০ হাজার মেট্রিক টন চিনি ও ৯০ হাজার মেট্রিক টন মসুরের ডাল। আর সিলেট জেলার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৩৬৩ পরিবার পাবে মোট ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০০ লিটার সয়াবিন তেল, ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চিনি ও ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, টিসিবি’র পণ্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে থাকবে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে মনিটরিং টিম। এছাড়াও মাঠে থাকবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে পৃথক মনিটরিং টিম।
একই ভাবে মৌলভীবাজার জেলার ৭২ হাজার ৪২৬টি, সুনামগঞ্জ জেলার ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৯১২টি ও হবিগঞ্জ জেলার ৯১ হাজার ৮২০টি পরিবার টিসিবি’র পণ্য পাবে বলে জানানো হয়েছে।