Saturday, April 1, 2023
Homeআন্তর্জাতিক‘এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদর্শ উদাহরণ বাংলা‌দে‌শ ‘

‘এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আদর্শ উদাহরণ বাংলা‌দে‌শ ‘

উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে উদাহরণ হি‌সে‌বে বাংলা‌দে‌শ আদর্শ ব‌লে উল্লেখ করেছেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি আবদুল্লাহ শহীদ। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদাহরণ দেন জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি। আবদুল্লাহ শহীদ ব‌লেন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শিক্ষা, সামাজিক সূচক, প্রযুক্তি, ব্যাংকিং, গ্রামীণ উন্নয়ন বা নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে একটি দেশ কীভাবে উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে যেতে পারে, তার উজ্জ্বল উদাহরণ হতে পারে বাংলাদেশ।

তি‌নি ব‌লেন, বঙ্গবন্ধু দেশের মানুষের জন্য যা করতে চেয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার তাই করছে। সম্ভবত এ অর্জনই আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর প্রতি সবচেয়ে বড় শ্রদ্ধা। জাতিসংঘের বাংলা‌দেশ স্থায়ী মিশন জানায়, এ সময় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর শতাধিক রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি এবং জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে সভাপতি শহীদ ব‌লেন, আমাদের মধ্যে যারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে জানার সুযোগ পাননি, তাদের কাছে আমার অনুরোধ আপনারা তার ৭ই মার্চের ভাষণটি পড়ুন। যেটি আজ ইউনেস্কোর মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সাধারণ পরিষদ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে উদীয়মান অর্থনীতির সঙ্গে রয়েছে প্রাণবন্ত গণতন্ত্র। করোনা মহামারির চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের টেকসই আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি বড় প্রমাণ হলো জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের গত বছর এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে বাংলাদেশের চূড়ান্তভাবে উত্তরণের সুপারিশ প্রদান। তিনি জনগণ, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের জন্য বাংলাদেশের অব্যাহত বিনিয়োগের প্রশংসা করেন।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তার স্বাগত বক্তব্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সুদীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারও প্রতি বিদ্বেষ নয়’ উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, বহুপাক্ষিকতার প্রতি আমাদের যে অবিচল বিশ্বাস তা এই আদর্শ থেকেই এসেছে।

১৯৭৪ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বঙ্গবন্ধুর প্রথম ভাষণ থেকে উদ্বৃত্ত করে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের জনগণের আদর্শ। রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, জাতির পিতার সেই আদর্শিক মর্মবাণী আজও উজ্জ্বল। জাতিসংঘে, আমরা সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলি ও নেতৃত্ব দেই। যার লক্ষ্য একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমতাভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থা গড়ে তোলা।

তিনি মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাহসী সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন। স্বাধীন দেশ হিসেবে ৫১ বছরের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ যেসব রূপান্তরধর্মী পরিবর্তন এনেছে এবং যে আর্থ-সামাজিক উন্নতি সাধন করেছে তা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ফাতিমা। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সামনে থেকে এই অদম্য অগ্রযাত্রার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments