স্টাফ রিপোর্ট::সিলেটের বিশ্বনাথে গাছ কাটার এজাহার পরিবর্তন করে মিথ্যা মারামারির এজাহার নিয়ে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নেয়া হয়েছে। বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের এসআই মামুনুর রশীদ প্রবাসী ছেলের মা বাদিনীর কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে এই মামলাটি দায়ের করিয়েছেন। এমন অভিযোগ এনে সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত ২৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে গাছ কাটার একটি অভিযোগ তদন্তে যান এসআই মামুনুর রশীদ। আর ওই গাছ কাটার অভিযোগটি দায়ের করেন পালেরচক গ্রামের সাইদুর রহমানের স্ত্রী আছিয়া বেগম (৬২)। অভিযোগটি তদন্তে দিয়ে গাছ কাটার কোনো প্রমান পাননি এসআই মামুন। পরে ১ এপ্রিল এসআই মামুন আছিয়া বেগমের কাছ থেকে বড় অংকের টাকা নিয়ে এজাহার পরিবর্তন করে মারামারির অভিযোগে মামলা রেকর্ড করেন, (মামলা নং-১)। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে পালেরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লায়েক মিয়া (৪৩)। মামলায় শিক্ষক লায়েক মিয়া ও তার ভাইসহ ৮জনের নাম উল্লেখ রয়েছে। মামলা রেকর্ড করেই ওইদিন গভীর রাতে শিক্ষক লায়েক মিয়া ও তার ভাই সেজু মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য তাদের বাড়িতে অভিযানও করেছেন এসআই মামুন। তাই এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে এই লিখিত অভিযোগটি দেন। তারা গায়েবী, কাল্পনিক ও সাজানো এই মামলার বিষয়ে পুলিশ সুপার নিজে কিংবা নিরপেক্ষ একজন উর্ধ্বতন অফিসার দিয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে আসামীদের অব্যাহতি, চক্রান্তকারী অর্থলোভী এসআই মামুন, বাদীনি আছিয়া বেগমসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে অনুরোধ করেন। এছাড়াও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি ও ডিআইজির কাছে অনুলিপিও দেয়া হয়েছে।
বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের এসআই মামুনুর রশীদ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে থানায় ফেরার পর এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আর এঘটনায় থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেছেন আছিয়া বেগম।