নিউমার্কেট এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ এবং এতে দুজন নিহতের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। বৃহস্পতিবার সকালে র্যাবের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, সংঘর্ষে দুজন নিহতের ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে এবং সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী দুজনসহ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শরীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের। গ্রেপ্তাররা হলেন- মোয়াজ্জেম হোসেন সজীব (২৩), মেহেদী হাসান বাপ্পি (২১) ও কুরিয়ার সার্ভিসকর্মী নাহিদ হত্যাকাণ্ডে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণকারী মো. মাহমুদুল হাসান সিয়াম (২১)।
এ বিষয়ে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা নিউ মার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে দু’জন নিহত হওয়ার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত ১ জন এবং সংঘর্ষের সূত্রপাতকারী ২ জনসহ মোট ৩ জনকে শরীয়তপুর ও কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে এই ঘটনায় ঢাকা কলেজের পাঁচ শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
উল্লেখ্য, গত ১৮ এপ্রিল কথা কাটাকাটির জেরে রাত ১২টার দিকে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চলে এ সংঘর্ষ। ওই ঘটনায় তখন দুই শিক্ষার্থী ও দুই ব্যবসায়ী আহত হন। এরপর রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেও পরদিন সকাল ১০টার পর থেকে শিক্ষার্থী ও নিউমার্কেট ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে সংঘর্ষ চলে।
এই সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে নাহিদ হাসান নামে একজন কুরিয়ার সার্ভিস কর্মী ১৯ এপ্রিল রাত ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এছাড়া ২১ এপ্রিল ভোরে মারা যান মোরসালিন (২৬) নামে এক দোকান কর্মচারী। তিনিও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান।
এই দুজন নিহতের ঘটনায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ডেলিভারিম্যান নাহিদের নিহতের ঘটনায় বাবা মো. নাদিম হোসেন বাদী হয়ে নিউমার্কেট থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ হত্যা মামলা দুটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ডিবি। এছাড়াও এই সংঘর্ষের ঘটনায় আরও দুটি মামলা হয়েছে।