এম এম এ রেজা পহেল, ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পাইকুরাটি ইউনিয়নের জিংলীগড়া জামে মসজিদের টাকা আত্মসাতকারী সেই যুবলীগ নেতা এরশাদ আকন্দকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয়ার উদ্দেশ্যে প্রকৃত অভিযোগ গোপন রেখে ভূয়া অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একলেমুর রেজা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
জানা যায়, ২০২১-২২ ইং অর্থবছরের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের জিংলীগড়া মসজিদের উন্নয়নের জন্য টি,আর প্রকল্পের আওতায় ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। কিন্তু বরাদ্দ পাওয়ার বিষয়টি মসজিদ কমিটি বা গ্রামের সাধারণ মানুষের মধ্যে না জানিয়ে গোপন রাখা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা এরশাদ আকন্দকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি করে বরাদ্দের সাকুল্য টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
আত্মসাতের বিষয়টি গোপন সূত্রে জানতে পেরে এ বিষয়ে একই গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি একলেমুর রেজা চলতি বছরের ২১ মার্চ তারিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব দেন উপজেলা কৃষি অফিসারকে।
অভিযুক্ত এরশাদ আকন্দকে অব্যাহতি দেওয়ার উদ্দেশ্যে একলেমুর রেজা এর দায়েরকৃত অভিযোগ গোপন রেখে মসজিদ কমিটির বতর্মান সভাপতি আব্দুল হাসিম কারীর নামে একই কার্যালয়ে একটি ভূয়া অভিযোগ দায়ের দেখিয়ে তদন্ত রিপোর্ট প্রদান করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ্য বিষয়, আব্দুল হাসিম কারী আত্মসাৎ হওয়া টাকা গত ২৩/৩/২০২৩ তারিখ ফেরত পেয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেয়ায় অভিযুক্ত এরশাদ আকন্দকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে টাকা উত্তোলন করে বিলম্বে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ফেরত দেয়ার বিষয়ে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আব্দুল হাসিম কারী এরশাদ আকন্দ এর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করেননি বলে এরশাদ আকন্দ নিজেই জানিয়েছেন। আমি গ্রামবাসির সামনে ৫০ হাজার টাকা ফিরত দিয়েছি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ চন্দ্র দাস বলেন, মসজিদ কমিটির সভাপতির কথা বিশ্বাস করে কাজ না দেখে কাজ সম্পন্ন হয়েছে মর্মে চূড়ান্ত রিপোর্ট দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
কৃষি অফিসার মীর হাসান আল বান্না বলেন, জিংলীগড়া মসজিদের টাকা আত্মসাতের একটি অভিযোগের তদন্ত রিপোর্ট দিয়েছি। তবে অভিযোগকারীর সাথে দেখা হয়নি বা তার নাম জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ চন্দ্র সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।