হাবিব রহমান, সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় বসত বাড়ির জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজির ছুরিকাঘাতে চাচা নুর মিয়া (৪৭) নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছে। নিহত নূর মিয়া উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের উত্তর কামলাবাজের ধানুয়াখালী গ্রামের মৃত সুলতু মিয়ার ছেলে।
সোমবার রাত ১০টায় উত্তর কামলাবাজ গ্রামের ধানুয়াখালী এ ঘটনাটি ঘটে।
এঘটনায় পুলিশ খবর পেয়ে ছুরিকাঘাতকারী ভাতিজি তহুরা বেগম (২৭)সহ ৪ জনকে আটক কেরে থানায় নিয়ে আসে।
আটকৃত বাকিরা হলেন-মৃত সুলতু মিয়ার ছেলে মো. তাজুল ইসলাম(৫০), তাজুল ইসলামের ছেলে আলী আক্কাস (২২), জামাতা আলমগীর (৩২)।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়,উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের উত্তর কামলাবাজ (ধানুয়াখালী) নিহত নূর মিয়া ও বড় ভাই তাজুল ইসলামের মধ্যে বসত ঘরের সামনের জায়গা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। আর এ বিরোধকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি সংঘটিত হলে এ সুযোগে ভাতিজি তহুরা বেগম ঘর থেকে ছুরি নিয়ে চাচা নূর মিয়ার পেটে আঘাত করলে সে মারাত্বক ভাবে আহত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এঅবস্থায় অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ শুরু হলে আশপাশেরসহ পরিবারের লোকজনের সহযোগিতায় নূর মিয়াকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ঘাতক তহুরার মা আহত শহরবানুকে আশংকাজনক অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ হয়।
জামালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, এ ঘটনায় জড়িত ভাতিজি তহুরা বেগম, স্বামী, বাবা ও ভাইসহ চাঁরজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ দিকে নিহতের বড় ছেলে সুজন মিয়া বাদি হয়ে ছয়জনকে আসামী করে জামালগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।