ইউরোপা লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আটালান্টার কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে লিভারপুল। ঘরের মাঠে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনও টুর্নামেন্টেই হারের মুখ দেখেনি অলরেডরা। এই হারের ফলে ১৪ মাস পর ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচে হারের স্বাদ পেলেন ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নিজেদের ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে আটালান্টাকে আতিথ্য জানায় লিভারপুল। নিয়মিত একাদশের বেশিরভাগ ফুটবলারকে ছাড়াই একাদশ সাজিয়েছিলেন ক্লপ। যার কারণে ম্যাচের শুরু থেকেই নিষ্প্রভ ছিল লিভারপুল। অন্যদিকে একের পর এক আক্রমণ শাণাতে থাকে আটালান্টা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে লিড নেয় আটালান্টা। ডেভিড জাপাকস্তার বাড়ানো বল পেয়ে লিভারপুল গোলরক্ষককে বোকা বানান আনমার্কড থাকা স্কামাকা। প্রথমার্ধে ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আটালান্টা।
বিরতির পর একাদশে পরিবর্তন এনে সালাহ, সোবোসলাইদের মাঠে নামান ক্লপ। তবে এতে লাভ হয়নি। উল্টো ৬০তম মিনিটে আরও একটি গোল হজম করে বসে তারা। জাপাকস্তা থেকে পাওয়া বল টেনে নিয়ে বক্সে স্কামাকে খুঁজে নেন দি কেতেলারে। প্রথম শটে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড। নিজের দ্বিতীয় গোল করেন স্কামাকা।
শেষ বাঁশি বাজার সাত মিনিট আগে লিভারপুলের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকেন আটালান্টার মারিও পাসালিক। ৩-০ গোলের বড় জয় নিয়েই বাড়ি ফেরে আটালান্টা। আগামী ১৯ এপ্রিল আটালান্টার মাঠে দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হবে দুই দল। সেমিতে যেতে হলে সেই ম্যাচে অবিশ্বাস্য কিছুই করে দেখাতে হবে ক্লপের দলকে।
উল্লেখ্য, অ্যানফিল্ডে সবশেষ ২০২৩ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে ৫-২ গোলে হেরেছিল লিভারপুল। এরপর ১৪ মাস ঘরের মাঠে ক্লপের দল ছিল অজেয়।
আইকে/বাংলাপেইজ