বাংলাপেইজ: উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সিলেট শহরের জলাবদ্ধতা মঙ্গলবার সকালের দিকে কমলেও দুপুর নাগাদ বিভিন্ন এলাকায় নদীর পানি ঢুকেছে।
সুনামগঞ্জ শহরের অর্ধেক এলাকা জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। পানি বাড়তে থাকায় উৎকণ্ঠা বেড়েছে এসব এলাকার মানুষের।
মঙ্গলবার সিলেটে সব নদীর পানি বেড়ে ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে উপজেলাগুলোয় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
সিলেটের ১৩টি উপজেলার সবগুলোর নিম্নাঞ্চলে পানি আরও বাড়ছে। এর মধ্যে ৫টি উপজেলার পরিস্থিতির বেশি অবনতি হয়েছে। গোয়াইনঘাটে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন অনেকে।
সিলেটের গোয়াইনঘাটে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় জননিরাপত্তা বিবেচনায় মঙ্গলবার বিকাল থেকে জাফলং, রাতারগুল, বিছনাকান্দি, পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার মধ্যে ১০টি প্লাবিত। এর মধ্যে ৫টির বন্যা পরিস্থিতি খারাপ আকার ধারণ করেছে। কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ উঠেছেন। স্কুল-কলেজে আশ্রয় নিয়েছেন বন্যা দুর্গতরা।
সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টি হয়েছে ১৫৩ মিলিমিটার। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত বৃষ্টির পরিমাণ ৭১ মিলিমিটার।
সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) মঙ্গলবার বিকাল ৩টার তথ্য অনুযায়ী, সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৩১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সোমবার ছিল ৭৪ সেন্টিমিটার উপরে। সুরমা নদীর পানি সিলেট পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সোমবার বিপৎসীমার নীচে ছিল।
কুশিয়ারা নদীর পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৮৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা আগের দিন ছিল ৭৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে।
নতুন করে বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে জকিগঞ্জের অমলসিদে কুশিয়ারা নদীর পানি, যা বিকাল ৩টার তথ্য অনুযায়ী বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সারি নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৯টায় ছিল বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপরে। গোয়াইনঘাটে সারিগোয়াইন বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, যা সকাল ৯ টায় ছিল বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপরে।
বাংলাপেইজ/এএসএম