নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজনীতি করার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকে বাড়ি ছাড়া কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে যশোর-৬ (কেশবপুর) আসন থেকে ধানের শীষের মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি।
তিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বাড়ি যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের চিংড়া গ্রামে। তার বাবার নাম কাজী রফিকুল ইসলাম।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ তালিকা প্রকাশ করেন।
কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী রফিকুল ইসলাম। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। শ্রাবণের আরও তিন ভাই উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতা।
দীর্ঘদিনের পারিবারিক রাজনৈতিক চর্চার বিপরীতে গিয়ে তিনি যোগ দেন বিএনপির রাজনীতিতে। আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিএনপির রাজনীতি করার বিষয়টি শ্রাবণের বাবাও ভালোভাবে নেননি।
এ কারণে ছেলের সঙ্গে ছিন্ন করেছেন সম্পর্ক। ছাত্রদল করার কারণে দেড় দশকের বেশি সময় ধরে শ্রাবণের পরিবার যোগাযোগ রাখেনি তার সঙ্গে। শ্রাবণও দীর্ঘদিন বাড়িতে যাননি। এমনকি পারিবারিক কোনো অনুষ্ঠানেও অংশ নেন না তিনি।
গত ২০ সেপ্টেম্বর নিজ জন্মভূমি যশোরের কেশবপুরে আসেন কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ। দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় পর নিজ উপজেলায় আসার খবরে মোড়ে মোড়ে ফুল নিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। তার এই বহরে কেশবপুর থেকে প্রায় দেড় হাজার মোটরসাইকেল ও শতাধিক মাইক্রোবাসে নেতাকর্মীরা অংশ নেয়। কর্মসূচি থেকে তিনি যশোর-৬ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে ঘোষণা দেন।
রাজনৈতিক কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর ঢাকাতে অবস্থান করছিলেন। দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে শ্রাবণ সামনে থেকে দিয়েছেন নেতৃত্ব। যে কারণে বহুবার তাকে হামলা-মামলার শিকারও হতে হয়েছে।
২০২২ সালের ১৭ এপ্রিল শ্রাবণকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি করা হয়। পরে ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর শ্রাবণকে কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম


                                    
