স্টাফ রিপোর্ট:: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তিন বছরেও চালু হয়নি ৫০ শয্যারর কার্যক্রম। ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়ার তিন বছর পেরিয়ে গেছে। দীর্ঘ এই সময়েও চালু না হওয়ায় ‘বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে’ ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবার কার্যক্রম। শুধু প্রশাসনিক দপ্তর ও বহির্বিভাগ চালু হলেও অন্য সব কার্যক্রম চলছে ৩১ শয্যার পুরাতন ভবনেই। ফলে, বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও বিশ^নাথ পৌরসভার জন সাধারণ বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা থেকে। এখানেই শেষ নয়, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল ও অবকাঠামো সংকটের কারণে প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা চার থেকে পাঁচ শতাধিক রোগীকে কাঙ্খিত সেবা দিতে হিমশীম খেতে হয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যার আধুনিক ভবনে শুধুমাত্র প্রশাসনিক দপ্তর ও বহির্বিভাগের কার্যক্রম চলছে। অন্যসব স্বাস্থ্যসেবা চলছে ৩১ শয্যার পুরাতন ভবনেই। কিন্তু চিকিৎসক, জনবল ও অবকাঠামো সংকটে ওই ভবনের কার্যক্রমে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ১৮৯টি পদের মধ্যে ৫৯টি পদই শূন্য রয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে আছেন ৬জন চিকিৎসক। এর মধ্যে নেই গাইনী চিকিৎসক। ফলে প্রসূতিসেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন অতদঞ্চেলের মানুষ। বন্ধ রয়েছে আলট্রাসনোগ্রাম মেশিন ও অপারেশন থিয়েটার। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স থাকলেও এর মধ্যে দুটিই বিকল রয়েছে। এদিকে, ইউনিয়ন পর্যায়ের উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ২৫টি পদের মধ্যে ১৩টি পদই শূন্য রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের আগের মেয়াদের বিদায়ী বছরে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয় বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ওই বছরের ৩০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট সফরকালে ৫০ শয্যায় উন্নীত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন। নির্মাণ কাজ শেষে ২০১৮ সালে ১৮ অক্টোবর ওই ভবনের উদ্বোধন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুর রহমান মুসা জানান, ৫০ শয্যার ভবন হস্তান্তর করা হলেও ভবনের অনুমোদন আমরা এখনও পাইনি। যে কারণে ৩১ শয্যায় কার্যক্রম চলছে। অনুমোদনের জন্যে সিলেট সিভিল সার্জন অফিস থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনের পর চিকিৎসক ও জনবল নিয়োগ দেওয়া হলে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলাবাসীকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।