ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত তাকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
পূর্ণাঙ্গ রায় বিচারিক আদালতে পৌঁছার পর থেকে ৩০ দিন গণনা শুরু হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম জানান, হাইকোর্ট বিভাগ ১০ বছরের কারাদণ্ড বহাল রাখায় তিনি সংবিধানের (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আর সংসদ সদস্যের পদে থাকতে পারবেন না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিচারিক আদালত আত্মসমর্পণের পর হাজী সেলিমকে কারাগারে পাঠাবেন। কারাগারে যাওয়ার পর হাজী সেলিমকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছ থেকে জামিন চাইতে হবে। নিম্ন আদালতের বিচার বহাল রেখে হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদকের দায়ের করা মামলায় হাজী সেলিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন এবং তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
হাজী সেলিমের আইনজীবী সায়েদ আহমেদ রাজা জানান, তার মক্কেল হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন। সেলিম শারিরীকভাবে অসুস্থ। এ কারণে তিনি আত্মসমর্পণের পর বিচারিক আদালতের কাছে জামিনের আবেদন জানাবেন।
তিনি জানান, তার মক্কেলের সংসদ সদস্য পদ বহাল থাকবে, কারণ এ বিষয়ের নিষ্পত্তি সর্বোচ্চ আদালতে হবে। বিচারপতি মো. মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক গত বছরের ৯ মার্চ মৌখিকভাবে এ মামলার রায়ের ঘোষণা দিয়েছিলেন।
রায়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বহাল রাখা হয়। ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জ্ঞাত উৎসের বাইরে ১৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকার অর্থ সংগ্রহ করেছেন।
তবে হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের রায়ের অন্য একটি অংশ বাদ দিয়েছেন। হাজী সেলিমকে দুদকের কাছ থেকে সম্পদের প্রকৃত পরিমাণ লুকানোর অভিযোগে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। হাজী সেলিমের আপিলের পর দেওয়া রায়ে হাইকোর্ট আরও জানিয়েছিল, তার (হাজী সেলিমের) ২৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত অবস্থায় থাকবে।