চাকরি জন্য তারা নানা স্থানে গিয়েছিল। কিন্তু তাতেই কোনো কাজ হয়নি। তাই শেষমেশ এবার চায়ের দোকান খুলে বসল তারা। ঘটনাটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের। চাকরি না পেয়ে শেষমেশ চায়ের দোকান খুললেন দুই ইঞ্জিনিয়ার -রাহুল আলি ও আলমগীর খান।
দুজনেই বন্ধু, দুজনেই বি.টেক পাস করে চাকরির চেষ্টা করেন। এমবিএ চায়েওয়ালা, এম.এ ইংলিশ চায়েওয়ালির পর এবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গে চালু হলো ‘বি.টেক চাওয়ালা’ নামের দোকান।
চায়ের দোকানের নামেও রয়েছে চমকের ছড়াছড়ি। সমাজের ব্যর্থতাকে চোখে আঙুল দিয়ে মেলে ধরতে নিজেদের চায়ের দোকানের নাম রেখেছেন ‘বি.টেক চাওয়ালা’। কারিগরি দক্ষতা ভুলে এখন চায়ের দোকানেই মগ্ন দুই ইঞ্জিনিয়ার।
চাকরির বাজারের করুণ অবস্থাকে আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন এই দুই তরুণ। দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে চা যেমন খেতে পারবেন, ভেতরে বসার ব্যবস্থাও রয়েছে। চা খেতে খেতেই মিলবে আড্ডার সুযোগও। দোকানের ভেতরের সাজসজ্জায় সৃজনশীলতা চোখে পড়বে।
আলমগীর জানিয়েছেন, পড়া শেষে সেভাবে চাকরির সুযোগ না মেলায় চায়ের দোকান খোলার ভাবনা আসে। এ ক্ষেত্রে এমবিএ চায়েওয়ালা থেকেই আমাদের অনুপ্রেরণা।
গত রোববার বছরের প্রথম দিনেই নিজেদের ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন পেছনে রেখে পথ চলার বাস্তবতাকে সামনে নিয়েই খুলে ফেললেন চায়ের দোকান।
পশ্চিমবঙ্গের মালদহের ইংরেজবাজার শহরের স্টেশন রোডে কানি মোড়ে আপাতত ভাড়ায় চায়ের দোকান খুলেছেন তারা। তাদের এ কাহিনী এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল।
বাংলাপেইজ/এএসএম