লন্ডন অফিস:বিপুল সংখ্যক সদস্যদের উপস্থিতিতে যুক্তরাজ্যে বাংলা মিডিয়ার প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম)অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাধারণ সভায় লন্ডন, বার্মিংহাম, ম্যানচেস্টার সহ ব্রিটেনের বিভিন্ন শহর থেকে প্রায় দেড়শ সদস্য অংশগ্রহণ করেন। প্রেসক্লাব নির্বাচনের এক বছর পর সদস্যদের প্রানবন্ত উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্টিত হয়।সভায় পূর্ব লন্ডনে টাওয়ার হ্যামলেটসের ‘বাংলাপাড়া’য় লন্ডন-বাংলা প্রেসক্লাবের জন্য একটি নিজস্ব ভবন ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহনের বিষয়টি অবহিত করেছেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। গত ২৯শে জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় পূর্ব লন্ডনের মাদানী ভেনুতে ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায়(২০২৩)ক্লাব-সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী অফিস ক্রয়ের উদ্যাগ গ্রহনের বিষয়টি সদস্যদের অবহিত করেন।সভাপতির বক্তব্যে এমদাদুল হক চৌধুরী ক্লাবের বর্তমান ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশি অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটসে একটি ভবন ক্রয়ের স্বপ্ন দেখি আমরা। এ লক্ষ্যে কমিউনিটি শীর্ষ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে ।কীভাবে একসঙ্গে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে একটি ভবন ক্রয় করা যায়-যে ভবনে প্রতিটি সংগঠনের নিজস্ব অফিস থাকবে এবং এক জায়গা থেকে সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এর সম্ভাব্যতা যাচাই-বাছাই করে দেখছেন। আশাকরি, সকল একযোগে এগিয়ে এলে আমরা একটি নিজস্ব ভবন ক্রয় করতে পারবো।
ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক তাইসির মাহমুদ তাঁর উপস্থাপিত বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেন, কোভিড নাইন্টিনের নির্জীবতার পর গত এক বছর প্রেসক্লাব ছিলো সবচেয়ে বেশি জমজমাট। বাংলাদেশের জাতীয় দিবসগুলো যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের পাশাপাশি আমরা ১৬টি ইভেন্ট আয়োজন করতে সক্ষম হই। এছাড়া ৪৫ টি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করি যা ছিলো এ যাবতকালে সর্বোচ্চ। প্রেসক্লাব অফিসকে প্রাণবন্ত করতে ১২টি সদস্য সন্ধ্যা আয়োজন করি। আগামী বছর প্রেসক্লাবকে আরো গতিশীল করতে আমরা “হাইয়েস্ট প্রেজেন্স এন্ড রিপোর্টং ইন প্রেস কনফারেন্স” এবং ‘বেস্ট পারফর্মেন্স ইন দ্যা ইসি’ নামে দুটো অ্যাওয়ার্ড চালুর ঘোষনা দিচ্ছি। আমরা আশাবাদী, এই দুটো অ্যাওয়ার্ড প্রেসক্লাবের কার্যক্রমে আরো গতিশীলতা আনবে।
সাধারণ সভায় আর্থিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কোষাধ্যক্ষ সালেহ আহমদ। তিনি জানান প্রেসক্লাবের একমাত্র আয়ের উৎস সংবাদ সম্মেলন। এ থেকে গত এক বছরে আয় হয়েছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার পাউন্ড। বার্ষিক সাধারণ সভায় অন্যান্য বছরের মতো এবারও সম্মানিত সদস্যরা নানা প্রশ্ন উত্থাপন, পরামর্শ ও মতামত প্রদান করেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ গ্রহণ করেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট মহিব চৌধুরী, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সাবেক প্রেসিডেন্ট নবাব উদ্দিন, সাবেক সেক্রেটারি আব্দুস সাত্তার, সাবেক সাধারণ মোহাম্মদ জুবায়েরসহ অন্যরা।
এজিএম শেষে ২জন কর্পোরেট সদস্য ও ৩ জন আজীবন সদস্যকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া প্রেসক্লাবকে আইনী সহায়তার জন্য ব্যারিস্টার ইসলাম খানকে ও ক্লাবের প্রাপার্টি ক্রয়ে সহযোগিতার জন্য সলিসিটর দেওয়ান মাহদীকে এপ্রিসিয়েশন এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।