বাংলার প্রেমদিবস বসন্ত পঞ্চমী। চলতি সপ্তাহান্তেই বাগদেবীর আরাধনা। গত বছরের মতো এ বছরেও নিউ থিয়েটার্স স্টুডিয়ো ১-এ এলাহি আয়োজন। পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিকের ভাবনায় সরস্বতী বন্দনায় এক জোট টলি পাড়ার কলাকুশলী, তারকারা। ২০২১-এ প্রতিমা আনা থেকে বিসর্জন— সবেতেই হাত লাগিয়েছিলেন তাঁরা। এ বছরেও সেটাই হতে চলেছে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে। আনন্দবাজার অনলাইনকে এমনটাই জানিয়েছেন শিলাদিত্য। সেই অনুযায়ী ইতিমধ্যেই নাকি শ্যুটের ফাঁকে ফাঁকে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা ঠিক করে নিচ্ছেন, কে ঠাকুর আনতে যাবেন। কারা সকাল সকাল নতুন শাড়ি, ধুতি-পাঞ্জাবিতে সেজে আলপনায় সাজিয়ে তুলবেন মণ্ডপ। তার পরে অঞ্জলি দেবেন এক সঙ্গে।
মঙ্গলবার তারই আগাম সাদর আমন্ত্রণে নুসরত জাহান। পরিচালকের কথায়, ‘‘সবাই তো থাকছেনই। সবার সঙ্গে থাকবেন নুসরত-যশ দাশগুপ্তও।’’ ওঁরাই কি এ বছর প্রেম দিবসের মুখ? সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্যে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। গত দু’বছর বিনোদন দুনিয়া খুবই অস্থির সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কেউ ভাল ছিলেন না। কিন্তু এখনও সরস্বতী পুজো এলে সবাই যেন ছেলেবেলায় ফিরে যান। দেদার আড্ডা। হলুদ শাড়ি, নতুন ধুতির কোঁচা সামলে সকাল থেকে ব্যস্ততা। পুজোর গোছগাছ। এক সঙ্গে বসে খিচুড়ি ভোগ খাওয়া, হাতছানি দেয় সবাইকে। সেই আমেজ ফিরিয়ে আনতেই সরস্বতীর বরপুত্রদের নিয়ে এই আয়োজন, দাবি শিলাদিত্যের। তাঁর সঙ্গে কাঁধ মিলিয়েছেন পরিচালক অভিজিৎ গুহ, অর্জুন দত্ত, প্রেমেন্দু বিকাশ চাকী।
গত বছরের পুজোয় তারকার ঢল নেমেছিল স্টুডিয়ো চত্বরে। ছিলেন প্রিয়াঙ্কা সরকার, সায়ন্তনী গুহ ঠাকুরতা, অরিন্দম শীল, ইন্দ্রাশিস আচার্য, শুভ্রজিৎ মিত্র, সায়নী ঘোষ, সাহেব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। পরিচালকের আশা, এ বছরেও অন্যথা হবে না। ভোগ-প্রসাদ হিসেবে কী খাওয়ানো হবে সবাইকে? গত বছরের মতোই খিচুড়ি, লাবড়া, কুলের চাটনি, নলেন গুড়ের পায়েস থাকবে মেনুতে, জানিয়েছেন অন্যতম আয়োজক।