কথা-কাজে বিতর্ক তার নিত্যসঙ্গী। বিতর্কিত লেখালেখির কারণে হয়েছেন দেশান্তরী। তিনি তসলিমা নাসরিন। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ফেসবুক স্ট্যাটাসে ফের উস্কে দিয়েছেন বিতর্ক। প্রেমজীবনেও নাকি সমাজের তোয়াক্কা করেননি তসলিমা। হুটহাট যেমন প্রেমে পড়েছেন, তেমনই অবাধ যৌনতাতেও মেতেছেন। এ নিয়ে ফেসবুকের পাতায় ২০১৬ সালের একটি পোস্ট আবার শেয়ার করেছেন তিনি।
তসলিমা লিখেছেন, ‘তিরিশ বছর আগে আমি আমার প্রেমিককে রাস্তায়, রেস্তোরাঁয় চুমু খেয়েছিলাম বাংলাদেশের মতো দেশে। ইউরোপের দেশগুলোয় হাটে মাঠে ঘাটে ইউরোপিয়ান প্রেমিককে তো চুমু খেয়েছিই, ঘোর পূর্ণিমা-রাতে সেক্স করেছি নির্জন সমুদ্রপাড়ে, করেছি চাঁদের আলোয় স্নান করতে থাকা নিবিড় অরণ্যে। সেক্স সবসময়ই খুব সুন্দর। নারী-পুরুষের, নারী-নারীর, পুরুষ-পুরুষের, ট্রান্সজেন্ডারের, কুইয়ারের। ’
তসলিমা নাসরিন বলেন, ‘অ্যানিমেলদের কাছে, বিশেষ করে বনোবোদের কাছ থেকে শেখা উচিত সেক্স নিয়ে কী করে উৎসব করতে হয়। বনোবোরা সবচেয়ে শান্তিপ্রিয় প্রাণী। কারণ তারা কলহ কোন্দল মিটিয়ে নেয় সেক্স করেই। বনোবোদের সঙ্গে মানুষের ডিএনএ’র সবচেয়ে বেশি মিল।’
তসলিমা কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বুঝিনা বাইরে জ্যোৎস্নায় ভেসে যাচ্ছে পৃথিবী, আর মানুষ কি না চারদেয়ালের ভেতর দরজায় খিল এঁটে সঙ্গম করে। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ অনেক দূরে সরে গেছে, আর কত দূরে সরবে! মানুষগুলো দিন দিন দুপেয়ে রোবট হয়ে উঠছে। আসলে সঙ্গমগুলোও আর সঙ্গম নেই। সব যেন ধর্ষণ হয়ে উঠছে। ভালোবাসাও হয়ে উঠছে ঈর্ষা।’
তসলিমার এই স্ট্যাটাস আলোড়ন তুলেছে নেট দুনিয়ায়। এরইমধ্যে প্রায় দেড় হাজার জন রিঅ্যাক্ট দিয়েছেন