বিশ্বনাথ প্রতিনিধি:: বৃটিশ চ্যারিটি সংস্থা দি ওয়ান পাউন্ড জেনারেল হাসপাতালের ভবনে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১ এপ্রিল) সকাল ১১টায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা সদরের ইলিমপুরস্থ হাসপাতালের ভূমিতে মাটি ভরাট উপলক্ষে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
হাসপাতালের সিইও ডা. শানুর আলী মামুনের সভাপতিত্বে ভূমি ভরাট কার্যক্রম উপলক্ষে দোয়া পরিচালনা করেন মাদানিয়া মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির। সভাপতির বক্তব্যে হাসপাতালের সিইও ডা. শানুর আলী মামুন জানান, বিশ্বনাথে ব্রিটিশ মানের ৫০ শয্যা হসপিটাল স্থাপনের জন্য ৬৭ শতক নিজস্ব জমিতে মাটি ভরাট কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হসপিটালের সয়েল টেস্ট, ডিজাইন, নকশার কাজ শেষ হয়েছে। মাটি ভরাট শেষ হলে বিল্ডিংয়ের কাজ শুরু হবে। তিনি জানান, ইতিমধ্যে ১৫১ জন প্রবাসী ফাউন্ডার এ কার্যক্রমের মেম্বার হয়েছেন। দাতাগণের প্রতিশ্রুতিতে বর্তমানে ২শত হাজার পাউন্ড জমা হয়েছে। আগামী ৭ রমজান চ্যানেল এস ইউকে টেলিভিশনে রামাদ্বান আপিল অনুষ্ঠিত হবে। এই আপিলে প্রবাসীদের ওয়ান পাউন্ড হসপিটালে যুক্ত হয়ে সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়ানোর আহবান জানান তিনি। বর্তমানে হসপিটালের কার্যক্রম হিসেবে ফ্রি ফ্রাইডে ক্লিনিকের মাধ্যমে গরীব অসহায় রোগিদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল।
হাসপাতলের বাংলাদেশ কো-অর্ডিনেটর সাংবাদিক তজম্মুল আলী রাজুর পরিচালনায় এসময় বক্তব্য দেন মাদানিয়া মহিলা মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির, মাদানিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদ, বিশ্বনাথ ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নো’মান আহমদ, বিশ্বনাথ মোহাম্মদিয়া মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা ফয়জুর রহমান, প্রবীণ মুবব্বী ও দাতা সদস্য শেখ মনির মিয়া, এক্সিম ব্যাংক বিশ্বনাথ শাখার পরিচালক সাইফুল ইসলাম শিকদার, ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল আলিম শিকদার, হসপিটালের কো-অর্ডিনেটর নাজমুল ইসলাম মকবুল।
সভায় বক্তারা বলেন, প্রবাসী অধ্যুষিত একটি উপজেলা হওয়ার পরও এখানে রাত ১০টার পর কেউ অসুস্থ হলে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। মানুষ চিকিৎসা নিতে ছুটে যেতে হয় সিলেটে। আর সিলেট যেতে গিয়ে বিভিন্ন সময় অনেক রোগী মারা যান। সঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় অনেকেই মৃত্যু হয়। এখানে ওয়ান পাউন্ড হসপিটাল নির্মাণ হওয়ার পর রাত ১০টার কেউ আর সিলেট শহরে যেতে হবে না, সহজে বাড়ির পাশে সেবা পাবেন। তাই আমাদের এই মহতী কাজে দেশ ও প্রবাসের বিত্তবানরা যদি এগিয়ে আসেন তাহলে উপকৃত হবে বিশ্বনাথ তথা সিলেটের মানুষ।