আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: গাজার খান ইউনিসের নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্স প্রাঙ্গনের গণকবর থেকে প্রায় ২০০ মরদেহ উদ্ধার করেছে ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, গতকাল শনিবার (২০ এপ্রিল) গণকবরটির সন্ধান পাওয়া যায়। আজ রোববার পর্যন্ত সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত ছিল। গত ৭ এপ্রিল খান ইউনিস থেকে সরে যায় দখলদার ইসরায়েলের সেনারা। এরপর সেখানে ফিরে আসেন সাধারণ মানুষ। তবে ফিরে এসে শুধুমাত্র ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে পান তারা।
আলজাজিরার সাংবাদিক হানি মোহাম্মদ খান ইউনিস থেকে রোববার জানিয়েছেন, হাসপাতাল প্রাঙ্গন থেকে সিভিল ডিফেন্স এবং প্যারামেডিকের সদস্যরা ১৮০টি মরদেহ উদ্ধার করেছেন। যেখানে ইসরায়েলিরা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের হত্যার পর মাটি চাপা দিয়ে রেখেছিল। গণকবরটিতে বৃদ্ধা, শিশু এবং তরুণদের মরদেহ পাওয়া গেছে।
ফিলিস্তিনি জরুরি পরিষেবা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ওই গণকবর থেকে আরও মরদেহ উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে। গণকবরটিতে আরও অসংখ্য মরদেহ রয়ে গেছে।
এ সপ্তাহের শুরুতে গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফার পাশে একটি গণকবরের সন্ধান মেলে। সেখান থেকে অসংখ্য মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত মাসে টানা দুই সপ্তাহ আল-শিফা হাসপাতালে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় ইসরায়েলি সেনারা।
গত ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মৃতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি। কারণ দখলদার ইসরায়েলের বিমানবাহিনীর চালানো বিমান হামলায় ধসে পড়া ভবনের নিচে আরও অসংখ্য মরদেহ আটকা পড়ে আছে।
গতকাল রাতে গাজার শেষ নিরাপদস্থান রাফাহতে বিমান হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। এই ২২ জনের মধ্যে ১৮ জনই শিশু।
সূত্র: আলজাজিরা
বাংলাপেইজ/এএসএম