‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে হস্তান্তর করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ৮ ফেব্রুয়ারি রাতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মির্জা ফখরুল। পরে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের হাতে সম্মাননাটি তুলে দেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, গণতন্ত্রের মাতা ও দেশনেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার হাতে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননাটি তুলে দেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।”
প্রসঙ্গত, ৮১ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত ১ ফেব্রুয়ারি গুলশানের বাসায় ফেরেন। কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও) নামের একটি সংগঠন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ‘মাদার অব ডেমোক্রেসি’ সম্মাননা দেয়। পুরস্কার পাওয়ার সাড়ে তিন বছর পর মঙ্গলবার বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায় বিএনপি।
এ বিষয়ে দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই যে, কানাডিয়ান হিউম্যান রাইটস ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (সিএইচআরআইও), তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণতন্ত্রের প্রতি অসামান্য অবদান এবং তিনি যে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য কারাবরণ করছেন, অসুস্থাবস্থায় গৃহবন্দি অবস্থায় আছেন— এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটি দেশনেত্রীকে মাদার অব ডেমোক্রেসি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেছে।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান হাইকমিশনও সম্মাননা প্রদানকারী সিএইচআরআইও-কে গ্রহণযোগ্য সংগঠন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে— দাবি করেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ সাংবাদিকদের সামনে উপস্থাপন করেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির দমন কমিশনের দায়ের করা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাজা হয়। পরে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। দুই বছর কারাবাসের পর করোনা মহামারি শুরু হলে (২০২০ সালের ২৫ মার্চ) পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের বিশেষ বিবেচনায় শর্তসাপেক্ষে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়।