ব্রিটেনে স্কুল শিক্ষিকা সাবিনা নেসার হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করেছেন ইস্টবোর্নের গ্যারেজকর্মী কোসি সেলামাজ। ব্রিটেনের ওল্ড বেইলিতে বিচারের শুরুতে, ৩৬ বছর বয়সী সেলমাজকে জিজ্ঞাসা করা হয় তিনি কীভাবে হত্যার অভিযোগে আবেদন করতে চান। উত্তরে নিজেকে দোষী স্বীকার করেন তিনি।
২৮ বছর বয়সী নেসাকে গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ-পূর্ব লন্ডনের কিডব্রুকের ক্যাটর পার্কে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ক্যাটফোর্ডের রুশে গ্রিন প্রাইমারি স্কুলের এই শিক্ষিকার মরদেহ পার্কের একটি কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পাতা দিয়ে ঢাকা ছিল।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে যে নেসার মাথায় আনুমানিক ৩৪ বার মেটাল ইমার্জেন্সি ট্রাফিক ট্রায়াঙ্গেল দিয়ে আঘাত করেছিল সেলামাজ এবং তারপর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। আগেও পারিবারিক সহিংসতার ইতিহাস ছিল তার।
বিচারপ্রার্থী অ্যালিসন মরগান কিউসি বলেছেন: বলেন, হত্যার পর মিস নেসার পোশাক এবং অন্তর্বাস খুলে ফেলেন আসামী। প্যাথলজি রিপোর্টে যৌন নিপীড়নের কোনো প্রমাণ পাওয়া না গেলে এমন উদ্দেশ্যের সম্ভাবনাকে বাদ দেয়া যায়নি। নেসাকে হত্যার পর সেলামজ তার লাশ ঘাসে ঢেকে রেখেছিল।
এরপর সেলামাজ পূর্ব সাসেক্সের ইস্টবোর্নের গ্র্যান্ড হোটেলে একটি প্রি-বুক করা রুমে নিয়ে যায়। তিনি কেন্টের টুনব্রিজ ওয়েলস হয়ে ভ্রমণ করেছিলেন এবং সেখানেই আক্রমণে ব্যবহৃত ট্রাফিক ত্রিভুজটি ফেলে দিয়েছিলেন।
মর্গান আরো বলেন, অস্ত্রটি পরে কেন্ট ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কর্মকর্তারা উদ্ধার করেন। নেসার পোশাক এবং অন্তর্বাস উদ্ধার করা হয়নি।
তিনি বলেন, আক্রমণটি পূর্বপরিকল্পিত ছিল, এই অর্থে নয় যে তিনি সাবিনা নেসাকেই লক্ষ্যবস্তু করেছিলেন, যে কোনও নারী এই আক্রমণের শিকার হতে পারতেন।
সেলামাজের পক্ষের একজন আইনজীবী বলেছেন: ‘প্রসিকিউশন এবং ডিফেন্সের মধ্যে পার্থক্য খুব কমই আছে। প্রমাণের কোনো চ্যালেঞ্জ নে।
আদালতের শুনানির পর বিচারপতি সুইনি ৭ এপ্রিল পর্যন্ত সাজা স্থগিত করেছেন।