বাংলাপেইজ ডেস্ক:: দেশে দুর্নীতির সমস্যা অস্বীকার করার উপায় নেই বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশে ডুইং বিজনেস এর সমস্যা আছে। সে সমস্যা কর্মকর্তাদের নিম্ন পর্যায়ে় বেশি। দুর্নীতির সমস্যা অস্বীকার করার উপায় নেই। অস্বীকার করার উপায় নেই- এসব সমস্যা সমাধানে সরকার কাজও করছে।
বুধবার (১৬ মার্চ) রাজধানীতে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডি আযে়াজিত ‘পরবর্তী উন্নয়ন যাত্রায় বাংলাদেশ জাপানের অংশীদারিত্ব’ শীর্ষক সংলাপের প্রধান অতিথির বক্তব্যে় পরিকল্পনামন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও শক্ত করতে চায়। কারণ, বর্তমান সরকার জাপানকে মনে করে এশীয় শক্তি। এজন্য দেশটিকে উচ্চ মর্যাদা দেওয়া হয়ে থাকে।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, সাংস্কৃতিক ও মানসিকভাবে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশ সম্পৃক্ত। বাংলাদেশের সব জায়গায় জাপানের চিহ্ন রযে়ছে। মাতারবাডি়, মেট্রোরেল, আড়াই হাজার সবক্ষেত্রেই জাপান কাজ করছে। এসব প্রকল্প সম্পন্ন হলে সেগুলো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলবে। জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও সুন্দর ও শক্তিশালী করার উদ্যোগ রযে়েছ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তোলনের পর, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো হবে। জাপানের সঙ্গেও বাড়ানোর পরিকল্পনা রযেছে। এজন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করার খসড়া নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে।
এখানে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ঢাকাস্থ জাপানি রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি, বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের জাইকা প্রধানসহ দেশী-বিদেশি বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন।
এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষক সৈয়দ ইউসুফ। তিনি বলেন, জাপান বাংলাদেশের ব্যবসা ও বিনিয়োগের বড় অংশীদার হতে পারে। জাপানে পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনা যেমন রযে়ছে, তেমনি জনশক্তি রপ্তানির সম্ভাবনা প্রচুর।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, জাপানের সঙ্গে শুধু অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব নয়, ও রাজনৈতিক অংশিদারিত্ব দরকার। আগামীতে জাপানের সঙ্গে রাজনৈতিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব অনেক বাড়বে।