স্টাফ রিপোর্ট:: ব্রিটেনে পাইকারি এবং খুচরা দুই পর্যায়ের বিক্রিতেই দুধের দাম দৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনটি কারণে দুধের দাম বাড়ছে। গরুর খাদ্য ঘাস উৎপাদনের জন্য সার, পশু খাদ্য তৈরি করা এবং যন্ত্র চালাতে যে জালানি প্রয়োজন হয় তার জোগান দিতে। প্রথমে সারের বিষয়ে আসা যাক। এই গরুর খামারে গাভীগুলো সারা বছরই খামারের ভেতরেই থাকে। এজন্য সারা বছরই এসব গাভীকে সাইলেজ খাওয়াতে হয়। গ্রীষ্মকালে সংগৃহীত ঘাসকে আচারের মতো করে প্রক্রিয়াজাত করে রাখলে সেটিকে সাইলেজ বলা হয়। ২৫ টন সার জমিতে ছিটিয়ে দিলে ঘাস দ্রুত গজিয়ে ওঠে। ২০২১ সালে এক টন সারের দাম ছিল সাড়ে ৩শ পাউন্ড। এখন এক টন সারের দাম ৮শ পাউন্ড।
সারের দাম ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। কারণ খনি থেকে পটাসিয়াম ফসফেট তুলতে অনেক এনার্জি খরচ হয়। পটাসিয়াম ফসফেটের বড় সরবরাহকারী দেশ রাশিয়া। তাই ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই এই উপাদানের দাম বেড়ে গেছে।
ঘাস কাটা এবং পশুদের খাওয়ানোর কাজেও পয়সা খরচ হয়। রেড ডিজেলে চালিত যন্ত্রের জন্য প্রতি লিটারে দুই বছর আগে খরচ হতো ৫০ পেন্স। এখন প্রতি লিটার রেড ডিজেল ৯০ পেন্স।
ভোক্তাদের কাছে দুধের দাম সহনীয় রাখতে গাভীকে ফুড সাপ্লিমেনট খাওয়ানো হয়, যাতে গাভীগুলো বেশী দুধ উৎপাদন করতে পারে। সাপ্লিমেনট বানানো হয় সয়া বীজ এবং গমের সংমিশ্রণে। গত বছর ব্রাজিলে সয়া উৎপাদন কম হয়েছে। আর গমের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ রাশিয়া। এ কারণে দুধের দাম বাড়ছে। ২০২০ সালে এক টন ফুড সাপ্লিমেনটের দাম ছিল আড়াই শ পাউন্ড। এই মুহূর্তে এক টন ফুড সাপ্লিমেনটের দাম ৩শ ৩০পাউন্ড। ইয়র্কশায়ারের এই খামারই গ্রায়াম প্রতিদিন এক টন ফুড সাপ্লিমেনটের খাওয়াস তাঁর ফার্মের গাভীগুলোকে।
সার, পশু খাদ্য এবং জ্বালানি খরচ ছাড়াও রয়েছে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি এবং লরি ড্রাইভারের স্বল্পতা। সবকিছু মিলেই দুধের দাম এখন বাড়তির দিকে।
গত কযেক দশক ধরে খাদ্যের দাম কমে এলেও বিরাজমান বাস্তবতায় সামনের দিনগুলোতে খাদ্য পণ্যের দাম বৃদ্ধির জন্য ভোক্তাদের প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দিচ্ছেন খামারিরা।