১৯৭১ সালে বাংলাদেশের গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষে মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের ও যুদ্ধশিশুদের শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তাদের প্রতি সহায়তা প্রদানের সুপারিশ করে লন্ডনে বার্ষিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লেকচার সম্পন্ন হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে ভিত্তিক ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের উদ্দোগে বার্ষিক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লেকচার এর এই অনলাইন ইভেন্টে “হিস্টোরিসাইজিং দ্যা বীরঙ্গনা : ট্রেসিং দ্যা পাস্ট, প্রেজেন্ট এন্ড ফিউচার, ট্রাজেকটোরিজ অফ দ্যা বাংলাদেশ লিবারেশন ওয়ার অব ১৯৭১” শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১০ মার্চ ২০২২ ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের প্রফেসর এডওয়ার্ড সিম্পসন এর সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে অংশ নেন ইংল্যান্ডের ডারহাম ইউনিভার্সিটির এন্ত্রোলজি বিভাগের প্রফেসর নয়নিকা মুখার্জি। অনুষ্টানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইকমিশন যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম ও ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আনসার আহমেদ উল্লাহ। অনুষ্ঠান শেষ পর্বে ভোট অব থ্যান্কস প্রদান করেন ৭ মার্চ ফাউন্ডেশনের সভাপতি নুরউদ্দিন আহমদ।
নির্ধারিত এই লেকচারে আলোচনায় উঠে আসে ১৯৭১সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বীরাঙ্গনাদের অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যতের কথা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হওয়ার পাশাপাশি ২লক্ষের বেশি মা-বোন নির্যাতনেরও শিকার হন। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুররহমানের সরকার তাঁদের সম্মানের নাম দেন ‘বীরাঙ্গনা। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক কারণে কোনো নারীই তখন তাঁদের নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করতে চাইতেন না। তবে এর ব্যতিক্রম হয়েছেন কেউ কেউ। ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীই প্রথম ব্যতিক্রমী নারী যিনি তাঁর ওপর নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ করেন। তাঁর নামের সঙ্গেও যুক্ত করেন বীরঙ্গনা শব্দটি।
লেকচারে আরো তুলে ধরা হয় ১৯৭১ সালের বীরাঙ্গনা যুদ্ধ শিশুদের বর্তমান ও ভবিষ্যত চিত্র। ভবিষ্যতে যাতে এই বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুরা তাদের সামাজিক এবং ন্যায্য অধিকার পায় তা করা নিশ্চিত করা উচিত। তাদের এই অধিকার আদায়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।
অনুষ্টানটি আয়োজন করে ৭ মার্চ ফাউন্ডেশন । সহযোগী পার্টনার ছিলো সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট, সোয়াস, ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন ও বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন।