স্টাফ রিপোর্ট:: সিলেটের বিশ্বনাথে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ ৭জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২২মার্চ সিলেটের ৩নং আমলী আদালতে দন্ডবিধি আইনের ৪০৬/৪২০/৩৮৫/৩৮৬/১০৯ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন বিলপার গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিকের ছেলে শিপন মিয়া। আদালত বিষয়টি তদন্ত করে রির্পোট প্রদানে বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নিদের্শ প্রদান করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের সিনিয়র আইনজীবি এসএম গফুর।
মামলায় আসামীরা হলেন, উপজেলার অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুর রহমান, মজম্মিল আলী, মকবুল, আমীরসহ ৭জন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের রাউতরগাঁও গ্রামের মজম্মিল আলী বিলপার গ্রামের শুকুর আলীর নিকট তার বোন বিবাহ দেন। এতে মজম্মিল আলীর পুত্র জাবেদ আহমদের সাথে বাদী পরিচয় হলে ক্লাসমিট হিসেবে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং এক সাথে দু’জন এসএসসি পরীক্ষায়ও অংশগ্রহণ করে। ২০১৭ সালে জাবেদ বিদেশ যাওয়ার জন্য শিপনের মা ও আত্মীয় স্বজনের নিকট থেকে ৩লক্ষ টাকা ঋণ গ্রহণ করে এবং পরবর্তীতে জাবেদের পিতা মজম্মিল আলী গ্রামের প্রতিপক্ষের লোকজনের সাথে মারামারি করে গুরুত্বর জখমি হলে শিপনের নিকট থেকে আরো ১লক্ষ টাকা ঋণ নেয়। একপর্যায়ে মজম্মিল আলী তার মেয়ে তামান্না বেগমকে শিপনের নিকট বিবাহ দেন। কিন্তু ঋণের পাওনা ৪লক্ষ টাকা ফেরত চাইলে মেয়েকে আটক রেখে বিভিন্নভাবে নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি রাউতরগাঁও এলাকার মুরব্বীগণ সালিশে নিষ্পত্তি করতে চাইলে তামান্না বেগমের মামা মবুল, আমির হোসেন ও ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান শিপনের ভাই ও চাচাকে খবর দিয়ে নিয়ে আটক রেখে ১লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। উপস্থিত সময় তারা (বাদীপক্ষ) চাঁদা দিতে না পারায় জোরপূর্বক সাদা কাগজে হত্যার হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। কয়েকদফা সালিশ বৈঠক হলেও শেষ বৈঠকে মজম্মিল আলী, সাইদুর রহমান, মকবুল ও আমির হোসেন উপস্থিত হননি।
সালিশ বৈঠকে রাউতরগাঁও গ্রামের মুরব্বী কাওছার আহমদ ও জামাল মিয়া জানান, এ ঘটনার মীমাংসার জন্য একাধিক বৈঠক করা হয়েছে। মবুল ও সাইদুর রহমানের কুপরামর্শে মজম্মিল আলী বিচার বৈঠকে উপস্থিত হয়নি।
বাদী শিপন মিয়া জানান, আসামীরা আমার লেখাপড়ার জীবন নষ্ট ধ্বংস করেছে এবং টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাত করেছে। আমার ভাই চাচাকে আটক করে চাঁদা না দেয়ায় জোরপূর্বক স্বাক্ষরও নিয়েছে। আমি নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছি।