Monday, December 2, 2024
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
Homeআন্তর্জাতিকনোবেল মনোনয়ন পেলেন পাকিস্তানের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা

নোবেল মনোনয়ন পেলেন পাকিস্তানের সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা

শান্তিতে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন পাকিস্তানে সুদবিহীন ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি আখুওয়াত ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. আমজাদ সাকিব। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য তিনি এ মনোনয়ন পেয়েছেন বলে জানা গেছে। এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, ২০২২ সালে বিশ্বজুড়ে ৩৪৩ প্রার্থীকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ তালিকায় ড. আমজাদ সাকিবের নামও রয়েছে।

পাকিস্তানের এ জনহিতৈষী দেশটির বৃহত্তম সুদমুক্ত ইসলামি শরিয়াহসম্মত ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা। বর্তমানে আখুয়াত পাকিস্তানের বৃহত্তম ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত ৯০ কোটি ডলারের সমতুল্য সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ পরিশোধের হার প্রায় ১০০ শতাংশ। আমজাদ সাকিব ২০০৩ সালে সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগ করেন এবং একই বছর আখুয়াত প্রতিষ্ঠা করেন ডা. আমজাদ। প্রায় দুই দশক সফলতার সঙ্গে কার্যক্রম পরিচালনা করা আখুয়াত এখন শরিয়াহসম্মত ক্ষুদ্রঋণের একটি কার্যকর মডেল উপস্থাপন করেছে, যা খুবই টেকসই বলে প্রমাণিত হয়েছে।

সুদ ও জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি চালুর জন্য যে পাঁচ ব্যক্তি ম্যাগসাইসাই পুরস্কার পেয়েছেন, তাদেরই একজন আমজাদ সাকিব। ঋণের অর্থ বিতরণের জন্য প্রার্থনার জায়গাগুলোকে ব্যবহার করেন আমজাদ। তার বিশ্বাস— মানুষের দয়া ও সংহতির মধ্য দিয়ে দারিদ্র্য বিমোচনের পথ খুঁজে পাওয়া সম্ভব।

নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হওয়ার খবরে ডা. আমজাদ বলেন, পুরস্কার পাওয়ার জন্য আমি কাজগুলো করিনি। এগুলো পুরোপুরিভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য করা। আমার সেবা এ ধরনের পুরস্কারের বাইরে এবং সম্পূর্ণভাবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য। কেউ হয়তো আমার নাম এই পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করেছেন। কিন্তু আমি এ ধরনের কোনো বিষয় সম্পর্কে অবগত নই।

কিং এডওয়ার্ড মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করার পর ১৯৮৫ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে যোগ দেন আমজাদ। পাঞ্জাব সরকারের গ্রাম উন্নয়ন ও ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচি পাঞ্জাব রুরাল সাপোর্ট প্রোগ্রামসহ (পিআরএসপি) সরকারের উচ্চপর্যায়ের বিভিন্ন পদে নিয়োজিত ছিলেন তিনি।

এসব দায়িত্বে থাকার সময় আমজাদের মনে হতো দরিদ্রদের চাহিদা পূরণের জন্য বিকল্প পদ্ধতি প্রয়োজন। সে চিন্তা থেকে সিভিল সার্ভিস থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। আখুওয়াত প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনের লক্ষ্যে নিবেদিত হন আমজাদ।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments