তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রেদওয়ানের গুলিবর্ষণ বিএনপি’র শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে হয়েছে কি না খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘এলডিপি মহাসচিব রেদওয়ান আহমেদ কুমিল্লায় তরমুজ ছোঁড়ার প্রত্যুত্তরে গুলি ছুঁড়ে আওয়ামী লীগ কর্মীদের আহত করেছেন, সেটি বিএনপির মহাসচিব বা অন্য কোনো শীর্ষ নেতার নির্দেশে করেছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার।’
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কুমিল্লায় এলডিপির মহাসচিব যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন, সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও ন্যাক্কারজনক। সেখানে আমাদের দলের কর্মীরা জমায়েত হয়েছিল এবং তিনিই সেখানে গেছেন। একটি তরমুজ ছোঁড়ার প্রত্যুত্তরে তিনি গুলি ছুঁড়েছেন এবং আমাদের দলের দু’জন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনের শিশুরা যখন ইসরাইলি বাহিনীর প্রতি ঢিল ছোঁড়ে, প্রত্যুত্তরে তারা গুলি ছুঁড়ে। আর কুমিল্লায় ঢিলও ছুঁড়েনি, একটি তরমুজ ছুঁড়েছে, তার প্রত্যুত্তরে রেদওয়ান আহমেদ সাহেব গুলি ছুঁড়েছেন। আর রেদওয়ান আহমেদের এই গুলি ছোঁড়ার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব এবং তিনি আরো নানা ধরনের কথা বলেছেন। এখন রেদওয়ান আহমেদ বিএনপির মহাসচিব কিংবা অন্য কোনো শীর্ষ নেতার নির্দেশে গুলি ছুঁড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। ঘটনাটি তদন্তাধীন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে আসবে এবং যারাই দোষী সাব্যস্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সম্প্রতি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ- টিআইবি’র নানা বক্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ইদানিং দেখা যাচ্ছে যে টিআইবি কথায় কথায় বিবৃতি দেয়। সম্প্রতি দেখা গেল, মধ্যরাতে রেলওয়ের টিটিই নিয়ে একটি ঘটনা ঘটলো, সকাল বেলায় টিআইবি খোঁজ-খবর না নিয়েই বিবৃতি দিয়ে দিলো। এখন টিআইবি আর রিজভী আহমেদের মধ্যে কোনো পার্থক্য খুঁজে পাচ্ছি না, কোনো ঘটনা ঘটার আগেই যেমন তিনি বিবৃতি লিখে রাখেন, টিআইবিও কোনো কিছু হওয়ার আগেই বিবৃতি দেয়।’
পরে তথ্যমন্ত্রী রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন। রংপুর টাউন হলে আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো: কায়সার রাশেদ খানের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি। প্রধান অতিথি হিসেবে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মো: শাজাহান খান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, কেন্দ্রীয় সদস্য অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও অ্যাড. সফুরা বেগম রুনি এবং প্রধান বক্তা হিসেবে রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।