প্রায় ১৪ বছর।দীর্ঘ এই সময় ধরে সরকারকে বৃদ্ধা আঙ্গুলী দেখিয়ে আত্মগোপনে থেকেছেন বিএনপির এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা হারিছ চৌধুরী!বিভিন্ন সময়ে সংবাদ মাধ্যমে আলোচনায় আসলে নিশ্চিত বলা যাচ্ছিলা তিনি কোথায়।হঠাৎ হারিছ চৌধুরীর মৃত্যু নিয়ে তার চাচাতো ভাই আশিক চৌধুরী ফেসবুকে স্ট্যাটাস ও পরে তিনি সাংবাদিকদের জানান, হারিছ চৌধুরী লন্ডনে মারা গেছেন।এমন খবরে আবারও আলোচনায় আসেন বিএনপির এ নেতা।বিষয়টি নিশ্চিত হতে একাধিক মাধ্যমে চেষ্টা করেন এ প্রতিবেদক।কিন্ত লন্ডনে থাকার বিষয়টি`র সত্যতা পাওয়া যায়নী।যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক,সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ যুক্তরাজ্যে না থাকার বিষয়টি জানিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করেন।সভাপতি বলেন,এদেশের থাকলে আমি বা বিএনপির কেউ জানবে না তা কি সম্ভব।তাদের সাথে আমার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।তিনি বলেন,আমি জানিনা তিনি(আশিক চৌধুরী)কেন বলছেন,তবে সরকারে ভয়ে(চাচাত্ব ভাই)এমন বলে থাকতে পারেন।এম এ মালেকের কথা সূত্র ধরে মানবজমিনের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয় তার মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী`র সাথে।তিনি খোলাসা করেন বিষয়টি।বলেন,লন্ডনে নয়,আমার বাবা বাংলাদেশ মারা গেছেন।গত বছরের তিন সেপ্টম্বর তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান।ঢাকার বাহিরে থাকে কবর দেওয়া হয়েছে।দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বেগম খালেদা জিয়ার এই রাজনৈতিক সচিব ঢাকাতেই ছিলেন।
এদিকে,পলাতক হারিছ চৌধুরীর জীবিত না মৃত তা নিশ্চিত হতে তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ(সিআইডি)সংস্থাটির সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগ এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলা মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হারিছ চৌধুরী মারা গেছেন বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করার পর তা নিশ্চি হতে এমন উদ্যোগ।পুলিশ সদর দপ্তরের ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরোর(এনসিবি)সহকারী মহাপরিদর্শক(এআইজি)মহিউল ইসলাম বলেন, আমরা নিশ্চিত নই ওই আসামী মারা গেছেন কি না।গণমাধ্যমে এ ধরনের খবর আমাদের নজরে এসেছে।বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য সিআইডিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।এ ছাড়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি তদন্ত করেছিল সিআইডি।ওই সংস্থার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হারিছ চৌধুরীসহ ওই মামলার পলাতক কয়েকজন আসামীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির আবেদন করা হয় ইন্টারপোলে।আন্তর্জাতিক সংস্থাটি যাচাই-বাছাই শেষে এই নোটিশ তাদের ওয়েবসাইটে দেয়।এখন তদন্ত শেষে সিআইডি যদি ওই আসামীর মৃত্যু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে, তাহলে ওই নোটিশ সরানোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।তদন্ত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ বাতিলের জন্য হারিছ চৌধুরীর পরিবার মৃত্যুর সংবাদ ছড়াচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।তবে তদন্তের পর মৃত্যুর বির্তকের অবসান হবে বলে মনে করছেন রাজনীতিবিদসহ সাধারণ মানুষ।