বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে তুমুল যুদ্ধ চলছে। পদ নিয়ে রেষারেষি এফডিসির গণ্ডি পেরিয়ে হাইকোর্টে গিয়ে পৌঁছেছে। মহামান্য আদালতের প্রতি সম্মান ও আস্থা জানিয়ে সেদিকে তাকিয়ে আছেন একই চেয়ারের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী জায়েদ খান ও নিপুণ। চেম্বার জজ আদালতে নিপুণের আপিলের শুনানি হবে আজ বুধবার। তার আগেই জায়েদ খানের তিন অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন চিত্রনায়িকা নিপুণ।
এক সাক্ষাৎকারে জায়েদ খান বলেছিলেন, চক্রান্ত করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে সরাতে চান নিপুণ। তিনি আরো বলেছিলেন, নিপুণ গায়ের জোরে তার চেয়ারে বসেছিলেন। নিপুণের প্রমাণ করা উচিত শিল্পীদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। জায়েদের এসব অভিযোগের বিষয়ে নিপুণ বলেন,‘আমি কেন তার (জায়েদ খান) বিরুদ্ধে চক্রান্ত করব? আমি কোনো অন্যায়, অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে জেতার চেষ্টা করিনি। স্যরি, আমি আসলে ওই রকমের মানুষই না। যদি এ কথা তিনি বলে থাকেন, তাহলে তিনি আসলেই ভুল বুঝছেন আমাকে। আর আমি তো জোর করে চেয়ারে বসতে যাইনি। আপিল বোর্ড বসিয়েছে আমাক।
তদন্ত করে জায়েদ খানের বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেয়েছে আপিল বোর্ড। নির্বাচনে তার টাকা লেনদেনের প্রমাণ মিলেছে। তাই আপিল বোর্ড তার প্রার্থিতা বাতিল করে আমাকে নির্বাচিত করেছে। আর একটা কথা, আমাদের শিল্পীদের মধ্যে আসলেই কোনো বিভেদ নেই।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ ফেব্রুয়ারি চিত্রনায়িকা নিপুণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড। নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। আপিল বোর্ডের এ সিদ্ধান্ত অবৈধ দাবি করে আদালতে রিট আবেদন করেন জায়েদ খান।
গত সোমবার জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদক পদ বাতিল করে দেওয়া আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করা হয়। এর পর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে মঙ্গলবার সকালে আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নিপুণ।