Thursday, March 28, 2024
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
Homeআন্তর্জাতিকইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা : নাবিক নিহত

ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা : নাবিক নিহত

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় ভেসে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলার ঘটনায় জাহাজের তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৪৭) মারা গেছেন। বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় হামলার ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে জাহাজটিতে মোট ২৯জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। একজনের মৃত্যু ছাড়া বাকি অন্যান্যরা সবাই নিরাপদে এবং সুস্থ রয়েছেন। জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশি নাবিক সালমান সামি মেসেঞ্জারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হুসাইন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সবার সাহসী এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে আগুন নিভাতে পেরেছে।’ইউক্রেনে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস ইউক্রেনের কনস্যুলার ও অন্যান্য বিষয়গুলো দেখভাল করে থাকে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশিদের সেখান থেকে পোল্যান্ডে সরিয়ে নেওয়ায় এই মুহূর্তে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে দূতাবাস কর্মকর্তাদের।এরই মধ্যে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় ঘটনায় পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লাইলা রহমান বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় দৈনিক ভোরের আকাশকে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা তো সেখান থেকে বহুদূরে অবস্থান করছি। বলতে পারেন, আমরা এখন অনেকটাই নিরুপায়।’
ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় ভেসে থাকা বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেট হামলার ঘটনায় জাহাজের তৃতীয় ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান (৪৭) মারা গেছেন।

বুধবার (২ মার্চ) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় হামলার ঘটনা ঘটে। সব মিলিয়ে জাহাজটিতে মোট ২৯জন বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন। একজনের মৃত্যু ছাড়া বাকি অন্যান্যরা সবাই নিরাপদে এবং সুস্থ রয়েছেন। জাহাজটিতে থাকা বাংলাদেশি নাবিক সালমান সামি মেসেঞ্জারে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট সাজিদ হুসাইন ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘সবার সাহসী এবং তাৎক্ষণিক পদক্ষেপে আগুন নিভাতে পেরেছে।’ইউক্রেনে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় পোল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস ইউক্রেনের কনস্যুলার ও অন্যান্য বিষয়গুলো দেখভাল করে থাকে।

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকেই বাংলাদেশিদের সেখান থেকে পোল্যান্ডে সরিয়ে নেওয়ায় এই মুহূর্তে বেশ ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে দূতাবাস কর্মকর্তাদের।এরই মধ্যে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলায় ঘটনায় পোল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুলতানা লাইলা রহমান বেশ হতাশ হয়ে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১২টায় রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলার ঘটনা আমরা জানতে পেরেছি। কিন্তু আমরা তো সেখান থেকে বহুদূরে অবস্থান করছি। বলতে পারেন, আমরা এখন অনেকটাই নিরুপায়।’ তিনি বলেন, ‘চাইলেই সেখানে যাওয়াটা এখন আর সম্ভব নয়। তবু আমরা তাদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।’বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক পীযূষ দত্ত এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, জাহাজটিকে মূল সাগরে আসতে হলে স্থানীয় পাইলট লাগবে।

তাদের সহায়তা ছাড়া সাগরে আসা সম্ভব নয়। তবে যুদ্ধাবস্থার জন্য স্থানীয় পাইলট পাওয়া যায়নি, তাই সাগরেও জাহাজটি যেতে পারেনি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে

তিনি বলেন, ‘চাইলেই সেখানে যাওয়াটা এখন আর সম্ভব নয়। তবু আমরা তাদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।’বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের নির্বাহী পরিচালক পীযূষ দত্ত এর আগে গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, জাহাজটিকে মূল সাগরে আসতে হলে স্থানীয় পাইলট লাগবে।

তাদের সহায়তা ছাড়া সাগরে আসা সম্ভব নয়। তবে যুদ্ধাবস্থার জন্য স্থানীয় পাইলট পাওয়া যায়নি, তাই সাগরেও জাহাজটি যেতে পারেনি।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়।

সেখান থেকে কার্গো নিয়ে ইতালি যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেয় শিপিং কর্পোরেশন। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments