মো. রেজাউল করিম মৃধা:: রাশিয়ার ও ইউক্রেন মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই ব্রিটেন ইউক্রেন সরকারের পক্ষে অবস্থান গ্রহন করেছেন।এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য নেটো সহ বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলির সাথে নিয়মিত বৈঠক করে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার।সেই সাথে ইউক্রেনীয় লোকদের যুক্তরাজ্যে আসার জন্য কয়েকটি প্রধান পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। যেমনঃ-১,যুক্তরাজ্যে স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের তাদের সাথে যোগদানের অনুমতি বা পরিবারের সদস্যদের অতি সহজে নিয়ে আসা। ২,বিভিন্ন সংস্থাগুলিকে ইউক্রেনীয়দের প্রবেশের পন্সর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শরণার্থীরা যে কোন মানবিক সংস্থার মাধ্যমেও সহজে ব্রিটেনে প্রবেশ করে স্থায়ী হতে পারবেন। ৩, উদ্বাস্তুদের জন্য বা শরণার্থীদের জন্য তৃতীয় বিকল্পের কথা ভাবছে বিরিটিশ সরকার। ৪, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনীয়দের প্রবেশ কোনো চেক বা কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই কোনো ব্যবস্থা তৈরি করবে না। হয় পরিবারের রেফারেন্সে আসতে হবে নয়তো সংস্থার মাধ্যমে নিয়মের মধ্য আসতে হবে। ৫,এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ ইউক্রেনীয়কে ভিসা দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়ার পর সরকারের শরণার্থী নীতি পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় নিয়ে আশা হচ্ছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ অব্যাহত থাকা এরইমধ্যে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের সাথে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। পার্লামেন্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ অলিগার্চদের দ্বারা অর্থ পাচারের লক্ষ্যে আইন পাস করা হচ্ছে। অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে সরকার। আরএএফ স্টেশন পরিদর্শনের সময়, জনসন বলেন, যে ৫০ টি ভিসার সংখ্যা কম মনে হলেও হাজার হাজার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। সরকার এখন পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে পালিযে আসাদের সহযোগিতা অব্যহত রেখেছে।
হোম অফিস সূত্র জানিয়েছে যে, তারা সংঘাত থেকে পালিযে আসা লোকদের মানবিক অ্যাক্সেস প্রদানের জন্য একটি পরিকল্পনা অন্বেষণের প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েচে। তবে একটি সিনিয়র সরকারি সূত্র বিবিসিকে জানিয়েছে যে ইউক্রেনীয় শরণার্থীদের জন্য ইতিমধ্যে ঘোষণা করা দুটি প্রকল্পের দিকে মনোযোগ দেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। একটি মানবিক অপরটি স্পনসরশিপ রুট। আরও বিশদ এই সপ্তাহে।