খালেদ মাসুদ রনি:
যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশী অধ্যুষিত লন্ডন শহরের হোয়াটচ্যাপল রেল ষ্টেশনে বাংলায় সাইন লাগানো হয়েছে।নতুন করে সংস্কারে পর বাংলাদেশীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ব্যস্থতম টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এলাকায় অবস্থিত এ ষ্টেশন বাংলায় করা হলো।বাংলাদেশী বংশোদ্ভ্বোত শ্যাডওয়েলের বাসিন্দা সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল কাউয়ু চৌধুরীসহ কমিনিটির মানুষের দাবীর প্রেক্ষিতে লন্ডন মেয়র সাদিক খানের আন্তরিকতায় এ ষ্টেশনটি ইংলিশের পাশাপাশি বাংলায় সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে।বাংলা বর্ণমালায় সাইন লাগানোকে বাংলাদেশীদের বিজয় হিসাবে বর্ণনা করেছেন কউমিনিটির বিশিষ্টজনরা,তারা বলেছেন,সাইন লাগানোর কারণে সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাকে দেখবে,কারণ প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই ষ্টেশন দিয়ে যাতায়াত করেন এবং গুগলো সার্স করেন।ট্রান্সপোর্ট পর লন্ডন(টিএফএল)এর উদ্যোগে ও টাওয়ারহ্যামলেটস কাউন্সিলের অর্থায়নে বৃহস্পতিবার(১০মার্চ)আনুষ্টানিক ভাবে স্থানীয় মেয়র জন বিগস সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সাইন লাগানোর বিষয়টি অবহিত করেন।ঐতিহাসিক এ ঘটনায় কমিনিটিতে উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।গত ১৭ ফেব্রয়ারী ভাষার মাসে বাংলায় সাইস লাগানোর বিষয়টি জানিয়ে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরীকে চিঠি লিখে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডনের মুখপাত্র জেরি হোয়াইট।সিন্ধান্তটি বাস্থবায়িত হওয়ায় এটিই যুক্তরাজ্যের প্রথম কোন ষ্টেশনের নাম লেখা বাংলায় হলো।এসময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র জন বিগস,স্পীকার আহবাব হোসেন,কউমিনিটির বিশিষ্টজনসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
আবেদনকারীর শশুর ও সুরমার বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক আব্দুল কাইয়ুম বাংলাপেইজকে বলেন,গত বছর স্টেশনটির নাম ইরেজীর পাশাপাশি বাংলায় লেখার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবরে লিখিত আবেদন করেছিলেন আমার শ্বশুড় আব্দুল কাইয়ূম চৌধুরী।লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম বংলায় লেখার বিষয়টি বিলেতের বাংলাদেশী কমিউনিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অর্জন।অন্যান্য ঐতিহাসিক অর্জনের সাথে এই নবসংযোজনে একজন বাঙালি হিসেবে সত্যি আনন্দিত ও উজ্জীবিত।কারো কারো কাছে এটি সামান্য একটি সাইন মনে হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম।কারন, এটি প্রতিদিন এই স্টেশন দিয়ে যাতায়াতকারী হাজার হাজার পথচারীর কাছে বাংলাপাড়ার পরিচিতি ঘোষণায় ভূমিকা রাখবে।আরো যারা বিভিন্নভাবে ক্যাম্পেইন করেছেন আমি তাদের সবাইকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।