বাংলাপেইজ ডেস্ক:: দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। চলমান এ সংকট নিরসনে বিদেশ থেকে দুইটি জাহাজে করে ২৯ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে এসেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, দেশে নিয়মিত তেলবাহী জাহাজ আসছে। তেল নিয়ে সর্বশেষ ১১ ও ১২ মার্চ দুইটি জাহাজ চট্টগ্রামম বন্দরের বহির্নোঙরে এসে পৌঁছেছে। এসব জাহাজে ২৯ হাজার টন সয়াবিন তেল আছে। ইতোমধ্যে ওই দুটি জাহাজ থেকে তেল খালাস প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত ১১ মার্চ “এমটি লুকাস” নামে একটি মাদার ট্যাংকার ১২ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এনেছে। এর মধ্যে টিকে গ্রুপের শবনম ভেজিটেবল অয়েল ৪ হাজার টন আর ৮ হাজার টন সুপার অয়েল রিফাইনারি আনা হয়েছে।
এছাড়া, গত ১২ মার্চ বহির্নোঙরে আসা “এমটি প্যাসিফিক রুবি” জাহাজে ১৭ হাজার টন অপরিশোধিত সয়াবিন তেল এসেছে বলে জানান তারা। এর মধ্যে মেঘনা এডিবল অয়েল রিফাইনারির ৭ হাজার টন এবং সিটি এডিবল অয়েলের ১০ হাজার টন রয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দরে আসা এ অপরিশোধিত সয়াবিন তেল পরিশোধন করে বাজারজাত করা হবে। সে কারণে জাহাজ থেকে খালাস করে এসব তেল প্রথমে পতেঙ্গার ট্যাংক টার্মিনালে রাখা হবে। এরপর সেখান থেকে শুল্ক কর পরিশোধ করে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের কারখানায় পরিশোধন করবে। এরপর সব প্রক্রিয়া শেষ করে পরিশোধিত তেল বাজারে ছাড়া হবে।
তবে এটিই শেষ না। আগামী শনিবার (১৯ মার্চ) ৪২ হাজার টন সয়াবিন তেল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে আরেকটি জাহাজ আসার কথা রয়েছে।
আমদানিকারকদের ভাষ্যমতে, প্রায় কাছাকাছি সময়ে সয়াবিন তেলবাহী জাহাজের আগমন দেশে এই পণ্যের সংকট হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, তা দূর করবে। জাহাজগুলোতে সয়াবিন তেল আসার আগে ট্যাংক টার্মিনালে সয়াবিন তেলের মজুত ছিল মাত্র ১৪ হাজার টন। নতুন চালান আসায় সয়াবিন তেল সংকটের শঙ্কা কাটছে।