বাংলাদেশে বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে। তাই এখানে বিনিয়োগ করে উন্নয়নের অংশীদার হতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার, প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে ইউএস-বাংলা ব্যবসায়ী কাউন্সিলের সাথে মতবিনিময় সভায় এ আহ্বান জানান তিনি। এসময় বাংলাদেশকে বর্ধিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের অন্যতম সম্ভাব্য অংশীদার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় ইউএস চেম্বারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভৌত অবকাঠামোর পাশাপাশি, দেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুনগুলোকে সংস্কার ও সহজ করা হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের সবচেয়ে উদার বিনিয়োগ নীতি রয়েছে এবং বিদেশী বিনিয়োগ সমূহ সংসদের আইন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি দ্বারা সুরক্ষিত। এছাড়া মার্কিন বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার এবং অন্যান্য বাণিজ্য সুবিধার মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করতে হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার জন্য উচ্চাভিলাষী বাংলাদেশ। তাই, বন্ধুত্বপূর্ণ দেশগুলি থেকে, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে বর্ধিত বিনিয়োগ প্রয়োজন।’
এরআগ, সোমবার (৯ই মে) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে একদল মার্কিন বিনিয়োগকারীর সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাদের এই আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে মার্কিন বিনিয়োগকারীরা আসলে তাদেরই লাভ হবে। কারণ, তারা আন্তর্জাতিকভাবে কম্পিটিটিভ হবে।’
জিএসপি সুবিধা নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে উত্তরণের পথে রয়েছি। এখন আমরা চাই, মুক্ত বাণিজ্য এবং অগ্রাধিকার বাণিজ্য।’
ড. মোমেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে আমাদেরকে অনেক শুল্ক দিয়ে ঢুকতে হয়। আমরা চাই না আমাদের প্রতিযোগী যারা রয়েছে, তারা আমাদের থেকে বেশি সুবিধা পাক।’
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা কোন কোন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহী, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি তাদেরকে বলেছি, আমাদের দেশে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ রয়েছে। ওষুধ শিল্প, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সুনীল অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তারা বিনিয়োগ করতে পারেন।’