তারুণ্যে পা দিতেই জড়িয়ে পড়েন পর্ন জগতে। হয়ে ওঠেন নীল সিনেমার তারকা। বিশ্বজুড়ে পর্নস্টার হিসেবে বিপুল পরিচিতি পান। এরপর সেই অন্ধকার জগত ছেড়ে আসেন বলিউডে। অদম্য লড়াইয়ের মাধ্যমে নিজেকে মূল ধারার অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি সানি লিওন। তার জীবনটাই যেন একটা সিনেমা। নানা নাটকীয়তা আর বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে মুম্বাই ইন্ডাস্ট্রিতে থিতু হয়েছেন। ২০১১ সালে বিয়ে করে সংসার পাতেন। ড্যানিয়েল ওয়েভারের সঙ্গে এখনো সেই সংসার সুখেই চলছে।
সানির মতো ড্যানিয়েলও ছিলেন পর্নতারকা। কীভাবে সানির সঙ্গে তার পরিচয় হয়, কীভাবে তাদের প্রেম ও বিয়ে হয়, সে গল্পটা চলুন জেনে নেওয়া যাক। তখন লাস ভেগাসে এক বান্ধবীর সঙ্গে থাকতেন সানি। সেখানেই এক রোস্তোরাঁয় ড্যানিয়েলের সঙ্গে প্রথম দেখা হয়েছিল তার। ব্যান্ডের শো করতে গিয়ে প্রথম দেখাতেই সানির সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যান ড্যানিয়েল। দেরি না করে সানির কাছে পরিচিত হন। সঙ্গে ফোন নম্বর আর ইমেইল আইডি চেয়ে নেন।
ওইদিনের পরই সানিকে মনের কথা জানিয়ে দেন ড্যানিয়েল। কিন্তু ড্যানিয়েলের প্রতি বিন্দুমাত্র আগ্রহ ছিল না সানির। নিয়মিত ইমেইল, মেজেস পাঠাতেন ড্যানিয়েল। কিন্তু জবাব দিতেন না সানি। এভাবেই অনেকদিন অতিবাহিত হয়।
এরপর সানি সিদ্ধান্ত নেন, ড্যানিয়েলের সঙ্গে একদিন দেখা করবেন। উদ্দেশ্যটা ছিল মনটাকে হালকা করা। কারণ ওই সময়ে তিনি তার মাকে হারান। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। সেজন্যই ড্যানিয়েলের সঙ্গে ডেটে যান। সেদিন প্রায় ৫ ঘণ্টা একসঙ্গে কাটিয়েছিলেন তারা।
ভালোবাসার গল্পটা শুরু সেদিন থেকেই। একে-অপরকে ফুল, উপহার দেওয়া-নেওয়া চলতে থাকে। তিন বছর প্রেমের পর ২০১১ সালে বিয়ে করেন সানি লিওন ও ড্যানিয়েল। সামাজিক ও ধর্মীয় রীতি মেনেই তারা গাঁটছড়া বাঁধেন। বর্তমানে তিন সন্তান নিয়ে সানি ও ড্যানিয়েলের সুখের সংসার। এর মধ্যে প্রথম সন্তান নিশাকে তারা দত্তক নেন। এরপর দুই জমজ সন্তান আশির ও নোয়াহ’র জন্ম হয়েছে সারোগেসির মাধ্যমে।