শিক্ষা ডেস্ক: ২০২২ ও ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক জিসিএসই এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় অসাধারণ নৈপুণ্য অর্জনের জন্য ৬১১ জনকে হাই অ্যাচিভারস অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
শুক্রবার ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সহযোগিতায় দশমবারের মতো পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করেছে পিয়ারসন এডেক্সেল।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউকে পিয়ারসনের পরিচালক জনাব ডেভিড অ্যালবন, পিয়ারসন স্কুলের ইমপ্লয়্যাবলিটি ও কোয়ালিফিকেশনসের পরিচালক মিসেস প্রেমিলা পলরাজ, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের কান্ট্রি এক্সাম ডিরেক্টর জনাব ম্যাক্সিম রাইম্যান, প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদের স্পিকার ‘কোভিড-এর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ৯৮ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিতি এবং ঝরে পড়ার হার হ্রাস সহ শিক্ষায় উল্লেখযোগ্য সাফল্যের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও মেয়েরা যেভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছে তা সত্যিই অসাধারণ। মেয়েরা যাতে ডিজিটাল বিভাজনের ফাঁদে না পড়ে সেজন্য আইটি সেক্টরে বিশেষ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে । এই উদ্যোগ তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারে নিজেদের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়।
একটি উন্নত ভবিষ্যতের জন্য তরুণ প্রজন্মের সর্বোচ্চ সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতের বৈশ্বিক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের। সরকার অল্পবয়সী মেয়েদের শিক্ষা গ্রহণে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করছে, বাল্যবিবাহকে নিরুৎসাহিত করতে প্রণোদনা প্রদান করছে। প্রণোদনা তহবিল সরাসরি মেয়েদের অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে পাঠানো হয়, মধ্যস্থতাকারী ছাড়া নিরবিচ্ছিন্ন লেনদেন নিশ্চিত করে। জ্ঞানভিত্তিক পরিবর্তন সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা চলছে।
আমরা আজ যে প্রোগ্রামে যোগ দিচ্ছি তা একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যত সুরক্ষিত করার জন্য নিবেদিত। পিয়ারসন এডেক্সেল ব্রিটিশ কাউন্সিলের সাথে যৌথভাবে শিক্ষার্থীদের তাদের নিজ দেশে থেকে বিশ্বমানের শিক্ষার সুযোগ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। এছাড়াও কোভিড ১৯ এর কঠিন সময়েও তাদের সমস্ত প্রচেষ্টা এবং সম্ভাবনার বীমা করার জন্য আমি ব্রিটিশ কাউন্সিলের প্রশংসা করি।
শিক্ষার্থীরা যাতে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে তা নিশ্চিত করার জন্য আমি অভিভাবক এবং শিক্ষকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করছি ।
এবারের আয়োজনে পুরো বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছে এমন ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এছাড়া ৪১০ জন আন্তর্জাতিক জিসিএসই এবং ৯৭ জন আন্তর্জাতিক ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য পুরস্কার পেয়েছে। এসব শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক জিসিএসইর বিষয়গুলোয় অন্তত সাতটি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় চারটি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে। তাদের মধ্যে এমন কিছু শিক্ষার্থীও রয়েছে যারা আন্তর্জাতিক জিসিএসইতে ১১টি বিষয়েই ‘এ’ গ্রেড এবং ‘এ’ লেভেল পরীক্ষায় ছয়টি বিষয়ে ‘এ’ গ্রেড পেয়েছে।
বাংলাপেইজ/এএসএম