ক্রীড়া ডেস্ক: বিদায়টা আরো সুন্দর হতে পারত। কিন্তু সেটি হলো না। আর কোনো ইউরোতে দেখা যাবে না ফুটবল বিশ্বের সেরা মহাতারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে। ইউরো শেষ ম্যাচে টাইব্রেকারে ফ্রান্সের কাছে ৫-৩ গোলে হেরে বিদায় নিয়েছে রর্বাতো মার্টিনেজের শিষ্যরা। এই জয়ে সেমিতে পা রাখল ফ্রান্স।
শুক্রবার (৫ জুলাই) জার্মানির হামবুর্গে ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই বড় দল ফ্রান্স ও পর্তুগাল। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলো ১২০ মিনিট। তাতেও হলো না গোল। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে জিতে নেয় ফ্রান্স।
ফকস্পার্কস্টেডিয়নে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ম্যাচের শুরুটা ছিল ঢিমেতালে। দুই দলই ছন্নছাড়া ফুটবল খেলতে থাকে। ২০ মিনিটে এসে প্রথম শট নেয় ফ্রান্স। বক্সের বাইরে থেকে থিও হার্নান্দেজের শট আটকান পর্তুগিজ গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে উঠে। ফলে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে জমে উঠে ম্যাচ। ৫০ মিনিটে এনগোলো কন্তের অ্যাসিস্টে কিলিয়ান এমবাপের ডানপায়ের শট সহজেই ধরেন গোলরক্ষক।
৭৪ মিনিটে ফ্রান্সের উসমান ডেম্বেলের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া বাঁ পায়ের শট লেগে যায় পোস্টে। ৮৬ মিনিটে রোনালদো বক্সের খুব কাছে ফ্রি কিক পেলেও সেটি আটকে যায় ফ্রান্সের মানবপ্রাচীরে।
যোগ করা সময়ে এমবাপের জোরালো শট সরাসরি ধরে ফেলেন পর্তুগিজ গোলরক্ষক ডিয়েগো কস্তা। কোনো দলই গোল করতে না পারায় অতিরিক্ত সময়ে গড়ায় ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ শেষ হতেই (১০৫ মিনিটে) এমবাপেকে তুলে নেন কোচ। বদলি হিসেবে নামেন ব্র্যাডলি বারকোলা। ১১১ মিনিটে উসমান ডেম্বেলে বাঁ দিক থেকে বক্সের কাছাকাছি এসে শট নিলে সেটি ওপর দিয়ে চলে যায়।
শেষ মিনিটে এসে পর্তুগাল দারুণ একটি সুযোগ তৈরি করে গোল পায়নি। বার্নার্দো সিলভা বক্সের ডান দিক থেকে পাস দিয়েছিলেন মাঝে দাঁড়ানো নুনো মেন্দেসকে। মেন্দেস শটও নেন, কিন্তু সেটি সরাসরি গোলরক্ষক বরাবর। ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে, ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
বাংলাপেইজ/এএসএম