সাজু আহমদ: সারা দেশে লেবার পার্টি এবারের সাধারণ নির্বাচনে একচেটিয়া বিজয় পেলেও ভোট কমেছে প্রায় পাঁচ ভাগ। এর মধ্যে আশঙ্কাজনকভাবে ভোট কমেছে ইস্ট লন্ডনে। মানুষ লেবার এর বিকল্প খুঁজেছে অন্য এলাকাতেও লেবার এসব নিয়ে কাজ না করলে ভবিষ্যতে তা তাদের বড়ধরণের চিন্তায় ফেলতে পারে অভিজ্ঞ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।
গত ২০১৯ সালে লেবার ২৬২ আসন পায় এবং ভোট পায় শতকরা ৪০ ভাগ কিন্তু এবারের নির্বাচনে লেবার আসন পায় ৪১২টি। কিন্তু ভোট পায় শতকরা ৩৪ ভাগ. মানুষ সরকারের ব্যর্থতার প্রতিবাদ করতে গিয়ে প্রতিবাদ ভোট হিসাবে রিফর্ম পার্টি ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট পার্টিকে বেছে নিয়েছে। এতে লাভবান হয় লেবার. লেবার এবারের ইলেক্শনে ৪১২ আসন নিয়ে মাত্র ৩৪ শতাংশ ভোট পায়।
কিন্তু কনজারভেটিভ (২৪ ভাগ) ও রিফর্ম পার্টি (১৪ ভাগ) মিলে ভোট পায় শতকরা ৩৮ ভাগ এবং তাদের আসন যথাক্রমে ১২১ ও ৪ টি. ইস্ট লন্ডনে অবস্থা আরো ভয়াবহ. বাঙালি অধ্যুষিত বেথনাল গ্রীন আসনে ভোট কমেছে প্রায় ৪০ ভাগ। ২০১৯ সালে রুশনারা আলী প্রায় ৪৪ হাজার ভোট পেলে এবার 2024 সালের নির্বাচনে তিনি পান মাত্র প্রায় ১৬ হাজার। ভোটের ব্যবধান ৩৭ হাজার থেকে কমে দাঁড়ায় ১, ৬৮৬ ভোট কমে যায়।
শতকরা ৪০ ভাগ ইলফোর্ড নর্থ আসনে লেবারের ভোট কমেছে প্রায় ২১ ভাগ. লেবারের নবনির্বাচিত স্বাস্থমন্ত্রী ওয়েস স্টেরিং মাত্র ৫২৮ ভোটে জয়ী হন ২৪ বছরের তরুণী ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত স্বতন্ত্র প্রার্থী লিয়ান মোহাম্মদের কাছে। ইলফোর্ড সাউথে লেবারের ভোট কমেছে প্রায় ২৫ ভাগ। এখানে নূরজাহান বেগম নামে এক নবাগত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রায় ১০ হাজার ভোট পান, আর বিজয়ী রেডব্রিজ কাউন্সিলের কাউন্সিল লিডার জাস আটওয়াল পান প্রায় ১৬ হাজার ভোট চিংফোর্ড
বাংলাপেইজ/এএসএম