Friday, March 29, 2024
spot_imgspot_imgspot_imgspot_img
Homeফিচারশিশুদের মারধর করলে কী করবেন

শিশুদের মারধর করলে কী করবেন

সন্তানকে সুশিক্ষিত করতে মা-বাবাকে সবদিকেই খেয়াল রাখতে হয়। ছেলেবেলা থেকেই তাকে আদরে শাসনে ঠিক-ভুল শেখাতে হয়। আপনার সন্তান কি অন্য শিশুদের মারধর করে? এই বিষয়টি কিন্তু কেবল ছেলেমানুষি বলা ঠিক নয়। প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে সচেতন হওয়া জরুরি।

শিশুর অন্যকে মারার অভ্যাস না বদলালে তা মানসিক ও শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে সন্তান অসামাজিক ও অমানবিক হতে পারে। যা তার বন্ধুমহল তৈরির ক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হবে। শিশুর যদি অন্য শিশুকে মারার অভ্যাস থাকে তাহলে কী করবেন?
শাস্তি নয়

শিশুর এমন আচরণে হতাশ হয়ে তাকে কঠোর শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবছেন? এ কাজটি একদমই করবেন না। তাতে তার মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। চেষ্টা করুন সন্তানের সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে। মনে রাখবেন, সন্তান সবসময় মা-বাবাকে রোল মডেল ধরে। তাই আপনাকে বুঝে শুনে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন

সন্তানের সঙ্গে কঠিন আচরণ করার আগে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করুন। কেউ শিশুর নামে নালিশ করলে তৎক্ষণাৎ রেগে যাবেন না। প্রয়োজনে সেখান থেকে কিছুক্ষণের জন্য সরে যান। এরপর ঠান্ডা মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনুন।

কোমল ভাষায় বোঝান

শিশুরা ভুল করবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার সন্তান সম্পূর্ণ নিখুঁত হবে এমন ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসুন। সন্তান খারাপ আচরণ করলে সবার সামনে তাকে না বকাই শ্রেয়। উচ্চবাচ্যের চেয়ে এমন পরিস্থিতিতে কোমল ভাষা বেশি কার্যকর। তাকে সুন্দর ভাষায় বোঝান। কাজটি ঠিক হচ্ছে না বা অন্যের কষ্টের কারণ হচ্ছে তা কোমল ভাষায় বলুন।

পর্যবেক্ষণ করুন

এমন অভ্যাস থাকলে শিশুকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করুন। কখন সে রেগে যাচ্ছে তা খেয়াল রাখার চেষ্টা করুন। তার আচরণের পরিবর্তনে নজর দিন। সবকিছু বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন কী করলে তার এই বদ অভ্যাস বন্ধ হবে।

সন্তানকে সময় দিন

সন্তানের বদ অভ্যাস কাটানোর জন্য তাকে বেশি সময় দিন। তার সঙ্গে খেলুন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলুন। এতে শিশুর পছন্দ-অপছন্দ বুঝতে পারবেন সহজেই। কেন সে অন্যকে মারে তার কারণও ধরতে পারবেন।

অনেক মা-বাবাই অন্যদের সামনে শিশুকে ছোট করেন। কিংবা সন্তান কোনো ভুল করলে সবার সামনেই বকাঝকা বা কড়া শাসন করেন। এর প্রভাব শিশুর মনে পড়ে। আবার অনেক সময় মা-বাবা কম সময় দেওয়ার কারণেই শিশুর মধ্যে বদ অভ্যাস তৈরি হয়। তাই, আপনার সন্তানের কাছাকাছি থাকুন, তার ভালো-মন্দ বুঝুন।

বাংলাপেইজ/এএসএম

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments